অক্টোবর ১৩, ২০২৪ ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ
আপনার সন্তান দ্রুত বেড়ে উঠুক, এই যদি আপনার মনের ইচ্ছে হয়, তাহলে দ্রুত তার খাদ্যতালিকায় নজর দিন। যে খাবার তার শরীর দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাবে। আর সেটি দ্রুতই উপকার মিলবে হাতেনাতে। এ জন্য এই ৫ খাবার জুড়ে দিন সন্তানের খাদ্যতালিকায়।
সব অভিভাবকই চান তার সন্তান যেন বয়স অনুযায়ী ঠিকভাবে বেড়ে ওঠে। তবে তার জন্য যে ডায়েটের দিকে নজর ফেরাতে হবে, এ বিষয়টি তারা ভুলে যান। তাই ছোট্ট সোনার খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার থাকে না। তার বদলে সন্তনের বায়না মিটিয়ে নিয়মিত ফাস্টফুড, চকোলেট ও আইসক্রিম খেতে দেন। যার জন্য তার শরীরে সমস্যা হয়। এ থেকে মুক্তির উপায় আছে। সে জন্য সন্তানের ভালো কিছু চাইলে আজ থেকেই নিজের ভুল শুধরে নিন। ছোট্ট সোনাকে খাওয়ান কিছু উপকারী খাবার। তাতেই তার ব্রেনের বিকাশ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি তার উচ্চতা বাড়বে। এবং শক্ত হবে হাড়।
জেনে নিন সন্তানের পাঁচ খাবার—
১. হোল গ্রেইন মাস্ট
ছোট্ট সোনাকে সুস্থ রাখতে চাইলে নিয়মিত হোল গ্রেইন বা গোটা দানা শস্য খাওয়াতে হবে। আর এমন ধরনের খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ব্রাউন রাইস, আটার রুটি ইত্যাদি। আসলে এ ধরনের খাবারে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। সেই সঙ্গে কিছুটা পরিমাণে ভিটামিন বি-ও রয়েছে। তাই হোল গ্রেইন খাবার খেলে বাচ্চাদের পেট ভালো থাকে। খাবারে উপস্থিত পুষ্টিগুণ ঠিকঠাক শরীরে গৃহীত হয়। তাই ছোট্ট সোনার ডায়েটে এসব খাবারকে জায়গা করে দিতে ভুলবে না যেন!
২. ফল ও শাকসবজি
সন্তানের শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে চাইলে নিয়মিত ফল ও শাকসবজি খাওয়াতেই হবে। এর পাশাপাশি এসব উদ্ভিজ্জ খাবারে বেশ কিছুটা পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে। তাই ছোট্ট সোনাকে এসব খাবারে অভ্যস্ত করে তুলুন।
তবে বাচ্চাদের যেমন-তেমন করে এ ধরনের খাবার রান্না করে দিলে তারা খাবে না। তাদের এসব খাবারের সুস্বাদু পদ বানিয়ে খাওয়ান। তা হলে সে পরের দিন নিজের থেকেই খাবার চেয়ে নেবে।
৩. মাছ
আমাদের অতি প্রিয় সব মাছে রয়েছে প্রোটিনের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান পেশি গঠনে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে দেহে হরমোন তৈরিতেও কার্যকরী ভূমিকা নেয়। এর পাশাপাশি মাছে মজুত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ছোটদের ব্রেনের বিকাশে সাহায্য করে। তাই সন্তানকে রোজ মাছ খাওয়ান। আর চেষ্টা করুন খুব বড় আকারের মাছ না খাইয়ে ছোট আকারের মাছ খাওয়ানোর। তাতেই একাধিক উপকার পাবেন।
৪. দুধ
ছোটদের খাদ্যতালিকায় দুধ রাখতে ভুলবেন না। কারণ এই পানীয়ে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। যার জন্য দুধ খেলে ছোটদের হাড় শক্ত হয়। এর পাশাপাশি এতে মজুত প্রোটিনের গুণে বাড়ে পেশির জোর। তাই ছোটদের ডায়েটে রোজ দুধ রাখতেই পারেন। আর সন্তানের যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে ছানা, পনির ও দই খাওয়াতে হবে। তাতেও উপকার মিলবে।
৫. ডিম
কম পয়সার সেরার সেরা একটা খাবার হলো ডিম। এতে উপস্থিত প্রোটিন খুব সহজেই শরীর গ্রহণ করে নেয়। এর পাশাপাশি এতে জরুরি সব ভিটামিন ও খনিজও রয়েছে। যে কারণে ডিম খেলে ছোটদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যায়। তাই তাকে নিয়মিত ডিমের পদ খাওয়াতে ভুলবেন না যেন। তবে ভুলেও তাকে রোজ রোজ ডিম ভাজা খাওয়াবেন না। তার বদলে সিদ্ধ করে খাওয়ান। আশা করছি, উপকার মিলবে হাতেনাতে।