জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ নিয়ে বিপদে পড়েছে অনেক দেশ। সেসব দেশ আবার বিভিন্নভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে। পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ যেমন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্যের কাছাকাছি। অনেকের ক্ষেত্রে আবার জনসংখ্যার হার ঋণাত্মক। এ অবস্থায় দেশগুলো দম্পতিদের সন্তান গ্রহণে উৎসাহিত করতে নিচ্ছে নানা উদ্যোগ। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার পরিকল্পনা করেছে, তারা সন্তান লালন-পালনের ভর্তুকি হিসেবে ১ লাখ ১২ হাজার ডলার দেবে; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকার কাছাকাছি। খবর অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের।
সেই জরিপের ভিত্তিতে সিভিল রাইটস কমিশন বার্ষিক ২৩ লাখ কোটি ওন বা ২৬ মিলিয়ন ডলার বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে। এই অর্থ দেশটির নিম্ন জন্মহার রোধের জন্য বরাদ্দ বাজেটের প্রায় অর্ধেক এবং এর পুরোটাই দেওয়া হবে প্রণোদনা বা ভর্তুকি হিসেবে।
কমিশনে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এ জরিপের মাধ্যমে আমরা (জন্মহার বৃদ্ধিতে) সরাসরি আর্থিক ভর্তুকি কার্যকর সমাধান হতে পারে কিনা, তা নির্ধারণ করতে দেশের জন্ম প্রচার নীতিগুলো পুনর্মূল্যায়নের পরিকল্পনা করেছি।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘নিম্ন জন্মহার এখন আর কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য একচেটিয়া সমস্যা নয়। এটি এমন একটি বিষয়, যা সমাধানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’
এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত দক্ষিণ কোরিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশটিতে নারীদের সন্তান জন্মদানের হার ছিল গড়ে শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে আরও কমে নেমে যায় শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশে। সে বছর বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশ ছিল দক্ষিণ কোরিয়া।