সম্পর্ক করা অনেক সহজ হলেও এটি টিকিয়ে রাখা অনেক কঠিন। সম্পর্ক ভালো রাখতে দুই সঙ্গীর ভূমিকা রাখতে হয়। তা না হলে সম্পর্কে অকালেই ঝরে যেতে পারে। একটু সমস্যা হলেই একজন অপরজনকে দোষারোপ করতে থাকেন। চিৎকার-চেঁচামেচি করে সমস্যা সমাধান করতে চান। কিন্তু কোন কোন সময় চুপ থাকলেই বেশি কাজ হয়। কিন্তু কখন চুপ করে থাকবেন? জেনে নিন।
১। মাঝে মাঝে আবেগই আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। সঙ্গীর কোন কথায় আপনি খুবই রেগে গিয়েছেন কিংবা দুঃখ পেয়েছেন। তখন অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না সে কী করবে। এই রাগ খুব খারাপভাবে বহিঃপ্রকাশ হয়। কেউ কেউ আবার কান্নাকাটি করতে শুরু করেন। সঙ্গীকেও শুনিয়ে দেন দুই-একটা খারাপ কথাও। এতেই শুরু হতে পারে সম্পর্কের ভাঙন। এমন পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকুন। নিজেকে শান্ত করতে অন্য রুমে কিছুক্ষণ একা থাকার চেষ্টা করুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে আসলে পরে কথা বলুন।
২। আপনার সঙ্গী হয়তো খারাপ একটা সময় পার করেছেন, যা শেয়ার করতে চাচ্ছেন না। এই সময়ে কি হয়েছে জানতে চেয়ে বিরক্ত না করাই ভালো। অনেকে আবার দু-চারটি খারাপ কথাও বলে ফেলেন। এমন কাজ মোটেও করবেন না। এই সময়ে আপনিও চুপ থাকুন। দেখবেন পরে সঙ্গী যখন নিজেই আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাইবেন। আপনিও সেই সময় উত্তর দিন।
৩। সম্পর্কের মধ্যে কথা কাটাকাটি হতেই পারে, এটা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। সঙ্গীর সঙ্গেও ঝগড়া হতেই পারে। চলতে পারে টুকটাক তর্কাতর্কিও। কিন্তু এই তর্ক বা ঝগড়া মোটেই বাড়াতে দেওয়া যাবে না। যখন দেখবেন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন চুপ থাকা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। শান্ত থাকুন এবং তাঁর কথা শুনুন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিজের কথা তাঁকে জানান।
৪। বেশিরভাগ মানুষ শুধু নিজের কথা বলতে ভালোবাসেন। কিন্তু অন্যের কথা শোনার ধৈর্য কারো থাকে না। আপনি যদি সেই দলে পড়েন তবে নিজেকে বদলে ফেলুন। তা না হলে পড়তে হবে বিপদে। সঙ্গী সঙ্গে যখন গল্প করবেন তখন তাঁর কথাও শুনুন। দেখবেন সে খুশি হবে। প্রয়োজনে তাঁর হাত দুটি ধরে থাকুন।
৫। সব বিষয়ে যে আপনাকে জানতেই হবে এমন কিন্তু একদমই নয়। তাই সব কিছুতে যে আপনাকে মতামত দিতেই হবে, তারও কোনো অর্থ নেই। আপনার কাছে সঠিক তথ্য না থাকলে, চুপ থাকাই ভালো। কাউকে ভুল তথ্য দেওয়ার থেকে চুপ থাকা উত্তম।