সিঙ্গাপুরের পর ইইউ’র দাবি: ভারতের ৫২৭টি খাবারে ক্যানসারের ‘বিষ’

সিঙ্গাপুরের পর ইইউ’র দাবি: ভারতের ৫২৭টি খাবারে ক্যানসারের ‘বিষ’

আন্তর্জাতিক

এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ভারতের অন্তত ৫২৭টি খাদ্যবস্তুতে মিলল ক্ষতিকারক কেমিক্যাল। যা ডেকে আনতে পারে ক্যানসারের মতো মারণরোগ! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ। যা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।

ইইউর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের অন্তত ৫২৭টি খাদ্যবস্তুতে বেশ কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ পাওয়া গেছে; যা মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। ডেকে আনতে পারে ক্যানসারের মতো মারণরোগ। এছাড়া এভারেস্ট, এমডিএইচ-সহ আরও কয়েকটি ভারতীয় মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থার পণ্যে নির্ধারিত মাত্রার বেশি পরিমাণে ইথিলিন অক্সাইড মিলেছে। যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কারণ ইইউ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে খাবারে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহার নিষিদ্ধ। ইতোমধ্যেই নাকি ভারত থেকে আসা বেশ কিছু খাবারের চালান সীমান্তেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বাজার থেকেও বেশ কিছু ভারতীয় খাবার তুলে নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, কয়েকদিন আগেই ভারতের মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থা এভারেস্টের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনে সিঙ্গাপুরের খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। সংস্থার জনপ্রিয় ‘ফিস কারি’ মশলায় বিপজ্জনক মাত্রায় কীটনাশক মেশানোর নাকি প্রমাণ মিলেছে। যে কারণে বিবৃতি জারি করে ভারত থেকে সে মশলা আমদানি বন্ধ করে দেয় সিঙ্গাপুর সরকার। ক্ষতিকারক উপাদান মেশানোর অভিযোগ উঠেছে আরেক ভারতীয় মশলা উৎপাদনকারী সংস্থা এমডিএইচ- এর বিরুদ্ধেও। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ভারতীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ইইউর খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ। তার পরই একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, এথিলিন অক্সাইড সাধারণত কৃষিকাজে কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বহু দেশেই খাদ্যে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিছুক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য পরিমাণের ব্যবহারে ছাড় রয়েছে।

সিঙ্গাপুরের খাদ্য দপ্তরের অভিযোগ ছিল, অনুমোদনের চেয়ে বেশি কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে ‘এভারেস্ট ফিস কারি’ মশলায়। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই ভারত থেকে মশলা আমদানি বন্ধ করার বিবৃতিতে সিঙ্গাপুর জানিয়েছিল, যারা ওই মশলা খেয়েছেন তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এবার একই দাবি করল ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *