সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ
ভেজা গোলা-বারুদে যুদ্ধ কখনো জমে না। বৃষ্টির উপদ্রবে এবারের এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের চিরন্তন উত্তাপে যেন ভাটার টান।
ক্রিকেটের এল ক্লাসিকোর দ্বিতীয় পর্বের আগে ব্যাট-বলের লড়াই ছাপিয়ে আলোচনায় বৃষ্টি। পাল্লেকেলেতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর গ্রুপপর্বের ম্যাচ মাঝপথে পরিত্যক্ত হয়েছিল। আজ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের মহারণে ফের মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান।
ম্যাচের সময় কলম্বোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৭৫ থেকে ৯৬ শতাংশ। ঝড় ও বজ পাতের আশঙ্কাও রয়েছে। তবে রিজার্ভ ডে থাকায় এবার ফলের আশা করাই যায়। সুপার ফোরে শুধু এই একটি ম্যাচেই রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। সোমবারও অবশ্য বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তারপরও দুদিন মিলে হলেও ম্যাচ শেষ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া ও কন্ডিশনের ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দুদলেরই মনোযোগ বাইশ গজের লড়াইয়ে। পাকিস্তানের তিন গতিময় পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফকে সামলানোর উপায় খুঁজতে ব্যস্ত ভারত। শেষ তিন ম্যাচে এ তিনজন মিলে নিয়েছেন ২৩ উইকেট।
গ্রুপপর্বের লড়াই বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার আগে শাহিন আফ্রিদির তোপের মুখে ভারত গুটিয়ে গিয়েছিল ২৬৬ রানে। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে সাত উইকেটে হারানো পাকিস্তান আজ জিতলে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখবে।
অন্যদিকে জয় দিয়ে সুপার ফোর পর্ব শুরু করতে ভারত নামছে সর্বশক্তি নিয়ে। চোট কাটিয়ে প্রায় চার মাস পর একাদশে ফিরছেন ভারতের এক নম্বর কিপার-ব্যাটার লোকেশ রাহুল। বাবা হওয়ার পর শ্রীলংকায় ফিরে দলে যোগ দিয়েছেন পেস আক্রমণের নেতা জাসপ্রিত বুমরাও। এবারের এশিয়া কাপে এখনো বোলিং করার সুযোগ পাননি তিনি।
নিজেদের দিনে বুমরা, সিরাজ, শামিরাও গুঁড়িয়ে দিতে পারেন যে কোনো দলকে। তবে ফর্মের বিচারে এগিয়ে থাকবেন পাকিস্তানের পেসারত্রয়ী। ভারতের তরুণ ওপেনার শুবমান গিলও এ তিনজনকেই সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করছেন, ‘তারা তিনজন ভিন্ন ধরনের হুমকি।
তিনজনেরই বিশেষত্ব আছে। শাহিন অনেক সুইং করাতে পারে। নাসিম ও রউফের শক্তি গতি। আশা করি, আগের ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে এবার আরও ভালোভাবে তাদের সামলাতে পারব।’
ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল পাকিস্তানের ব্যাটিংও এখন আগের মতো নড়বড়ে নয়। অধিনায়ক বাবর আজম আছেন স্বপ্নের ফর্মে।
গত আড়াই মাস শ্রীলংকায় নিয়মিত খেলায় আজকের ম্যাচে নিজেদের একটু হলেও এগিয়ে রাখছেন বাবর, ‘গত দুই-আড়াই মাসে শ্রীলংকায় আমরা টেস্ট খেলেছি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ এবং এলপিএল খেলেছি। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রশ্নে তাই ভারতের চেয়ে একটু হলেও এগিয়ে থাকবে পাকিস্তান।’