নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির ডাকা হরতালে সারা দেশে ১৮টি যানবাহনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তালহা বিন জসিম বলেন, রোববার (১৯ নভেম্বর) থেকে সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৬টি স্থানে আগুন লাগার সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এসব ঘটনায় ১৮টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে তিনটি, ঢাকা বিভাগ একটি, রাজশাহী বিভাগে (নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ) সাতটি, চট্টগ্রাম বিভাগে (ফেনী, মিরসরাই, সাতকানিয়া) চারটি, ময়মনসিংহ বিভাগে (জামালপুর) একটি ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, অগ্নিসংযোগের এসব ঘটনায় ৯টি বাস, একটি কাভার্ড ভ্যান, ৬টি ট্রাক, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি ট্রেন (৩ বগি) পুড়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ২৯টি ইউনিট ও ১৪৪ সদস্য।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এরপর হরতাল ও পাঁচদফা অবরোধের পর আবারও টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল ডেকেছে বিএনপি, চলবে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারাদেশে ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। তাদের পক্ষ থেকে বরাবরই জানানো হয়েছে, যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে যাবেন তারা। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। জনগণের যানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
এতে হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার রাজধানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকালে ঢাকার অভ্যন্তরীণ গণপরিবহনের চাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। কর্মজীবীরা কর্মস্থলে যেতে শুরু করেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জনমনে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।