কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার ১৩০টি পোশাক কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
রোববার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ অফিসে ‘পোশাক শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ও বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। মজুরি ঘোষণার পর থেকে বেশকিছু কারখানায় অজ্ঞাত উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকরা অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করেছে। কারখানার ভেতর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। মূলত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এসব কারখানার মালিকরা। এছাড়া যেসব কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী, সেগুলোতে কাজ চলমান।
ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারি ও যুদ্ধের কারণে আমরা যখন বৈশ্বিক ও আর্থিক চাপের মধ্যে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, ঠিক তখনই আমাদের এ শিল্পকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অপতৎপরতা। একটি স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী আমাদের শান্ত শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে অশান্ত করছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।