জুলাই ১৮, ২০২৪ ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামালায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৮৯ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নিয়ে গত ৭ অক্টবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৭৯৪ জনে এবং আহত বেড়ে ৮৯ হাজার ৩৬৪ জনে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় এক হাজার ২০০ জন ইসরাইলি। ওইদিন আড়াই শতাধিক ইসরাইলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।
ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে দখলদার ইসরাইল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা।
হামলায় বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ধারণা, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছে।
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় তার ক্রমাগত নৃশংস আক্রমণের মধ্যে ইসরাইল আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ইসরাইলকে সর্বশেষ রায়েও অবিলম্বে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে তার সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে গত ৬ মে হামলা চালানোর আগে ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ বাঁচাতে থেকে আশ্রয় নিয়েছিল।
তা সত্ত্বেও নিরাপদ অঞ্চল ঘোষিত এসব অঞ্চলেও এখন একের পর এক হামলায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইলি আগ্রাসনে ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের অবরোধের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।