নেপালি পর্বতারোহী কামি রিতা শেরপা নিজের রেকর্ড ভেঙে আবার নতুন রেকর্ড গড়লেন। এ পর্যন্ত তিনি ২৯ বার মাউন্ট এভারেস্ট জয় করলেন। ২৯তম অভিযানে তিনি রোববার বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া এভারেস্টের শীর্ষে পৌঁছান। খবর এনডিটিভির
কামি রিতা শেরপা একটি বাণিজ্যিক অভিযানের জন্য কাজ করার সময় ১৯৯৪ সালে প্রথম ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার (২৯ হাজার ২৯ ফুট) উচ্চতার চূড়ায় আরোহণ করেন। তারপর থেকে তিনি প্রায় প্রতিবছরই এভারেস্টে আরোহণ করেন।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে এভারেস্ট অভিযানে গাইড হিসেবে কাজ করছেন রিতা শেরপা। এ কারণে ‘এভারেস্ট ম্যান’ নামে পরিচিত পান কামি রিতা শেরপা। তিনি বিভিন্ন সময় অন্য পর্বতারোহীদের সঙ্গে করে নিয়ে যান। তবে এবার তার সঙ্গে কে এভারেস্টে গেছেন তা এখনো জানা যায়নি।
গত সপ্তাহে এভারেস্টে ওঠার বেস ক্যাম্প থেকে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে কামি রিতা শেরপা লেখেন, বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ায় ২৯তম বারের মতো ওঠার জন্য আবার এসেছি।
৫৪ বছর বয়সি কামি রিতা শেরপা ২০১৮ সাল থেকে সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্টে ওঠার খেতাব ধরে রেখেছিলেন। তখন তিনি ২২তমবারের জন্য এভারেস্টে আরোহণ করেছিলেন। তিনি আগের অন্য দুই শেরপার সঙ্গে পর্বতারোহণের এই রেকর্ড ভাগাভাগি করেছিলেন। তারা দুজনই অবসর নিয়েছেন।
কিন্তু গত বছর নেপালের আরেক পর্বতারোহী, ৪৬ বছর বয়সি পাসাং দাওয়া শেরপা ২৬তমবারের মতো এভারেস্টের শীর্ষে পৌঁছানোর রেকর্ড গড়ে কামি রিতার ২৬তম রেকর্ডকে স্পর্শ করেন। এরপর গত বছর কামি রিতা দুবার এভারেস্টে উঠে ২৭তম ও ২৮ তম বারের মতো রেকর্ড গড়েন।
কামি রিতা এর আগে বলেছেন, তিনি তার কাজ করেন। রেকর্ড গড়ার জন্য তিনি কোনো পরিকল্পনা করেন না। কামি রিতা শুধু এভারেস্টই নয়, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া পাকিস্তানের কে২ এর ৮০০ মিটার উচ্চতাও জয় করেছেন।
নেপালের পক্ষ থেকে এ বছরের বসন্তে অর্থাৎ, এপ্রিল থেকে জুন মাসে ৪১৪ জন পর্বতারোহীকে এভারেস্টে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এবারে নেপালের দিক থেকে ৮০০ জনের বেশি অভিযাত্রী এভারেস্টে উঠবেন। চীনের পক্ষ থেকেও তিব্বতের পথ ধরে ২০২০ সালের পর প্রথম এভারেস্টে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত বছর ৬০০ অভিযাত্রী হিমালয়ের চূড়ায় উঠেছিলেন। তবে গত বছর সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে । গত বছর ১৮ জন অভিযাত্রী নিহত হন।