পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে যে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে যে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক

জানুয়ারি ৬, ২০২৪ ২:১৫ অপরাহ্ণ

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে। দেশটির সিনেট সদস্যরা শুক্রবার এক বিতর্কিত প্রস্তাব পাশ করেছেন। এর পর আবারও দেশটির আগামী নির্বাচন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০০ জন সিনেট-সদস্যের মধ্যে মাত্র ১৪ জন উপস্থিত ছিলেন। সিনেটের নিয়মানুযায়ী, কোরামের জন্য সিনেটের মোট সদস্যের এক-চতুর্থাংশকে উপস্থিত থাকতে হয়। উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগুরুই এই প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও প্রধান রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজকর্মীরা এটি নাকচ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা প্রত্যাশা করে যে, পাকিস্তানের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হবে ও দেশের আইন মানা হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ২৪.১ কোটি মানুষের সেই দেশে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারিতে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তবে প্রাক-নির্বাচনি কারচুপির ব্যাপক অভিযোগে এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিতর্কের মধ্যে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পাকিস্তান কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে তার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাজ নয়।’

মিলার বলেন, ‘বরং এটা স্পষ্ট করা যে, আমরা দেখতে চাই এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সমিতি এবং শেষ পর্যন্ত একটি খোলামেলা, নির্ভরযোগ্য, প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অবকাশ রয়েছে।’

জেলবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দলের ওপর সামরিক সাহায্যপুষ্ট পাকিস্তানি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দমনপীড়নের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। ইমরান খান জেল থেকে ‘দি ইকোনমিস্ট’-এ লেখেন— তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআইকে অন্যায়ভাবে আটকে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও লেখেন, ‘এইরকম পরিস্থিতিতে এমনকি নির্বাচন যদি অনুষ্ঠিতও হয় তা হবে একটা বিপর্যয় ও প্রহসন। কেননা প্রচারণার প্রাথমিক অধিকারই দেওয়া হচ্ছে না পিটিআইকে।’

ক্রিকেটের নায়ক থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান খানকে বিরোধীদের নেতৃত্বে অনাস্থা ভোটে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। পিটিআইয়ের ওপর দমনপীড়ন ও ক্রমবর্ধমান মিডিয়া সেন্সরশিপের উল্লেখ করে স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য ভোটের সততা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ক্রমান্বয়ে প্রশ্ন তুলছে।

পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের (স্বাধীন) সহচেয়ারপারসন মুনিজাই জাহাঙ্গীর গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু বা বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার কোনো চিহ্ন এ মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *