জানুয়ারি ২৬, ২০২৪ ৯:১২ পূর্বাহ্ণ
বিয়ের পর দম্পতির জন্য মধুচন্দ্রিমা একটি স্মরণীয় অধ্যায়। অথচ এই মধুচন্দ্রিমাকে ঘিরেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন ভারতের এক দম্পতি। গোয়ায় মধুচন্দ্রিমার কথা বলে শেষপর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা ও বারাণসীতে নিয়ে যাওয়ায় মধ্যপ্রদেশের ভোপাল পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদ চেয়েছেন এক স্ত্রী।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদ চেয়েছেন ওই নারী। গত ১৯ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত আবেদন ভোপাল পারিবারিক আদালতে ওঠে। মধুচন্দ্রিমা থেকে ফেরার ১০ দিন পরই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে করা ওই আবেদনে স্ত্রী দাবি করেন—তার স্বামী আইটি সেক্টরে ভালো বেতনে চাকরি করেন। তিনি নিজেও ভালো উপার্জন করেন। অর্থাৎ তাদের আর্থিক কোনো অসচ্ছলতা নেই। অথচ মধুচন্দ্রিমার মাত্র একদিন আগে তার স্বামী গোয়ার পরিবর্তে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা ও বারাণসীতে যাওয়ার কথা জানান।
স্ত্রী আরও বলেন, আর্থিক অসচ্ছলতা না থাকা সত্ত্বেও বাড়িয়ে বয়স্ক বাবা-মায়ের দেখভালের কথা বলে তার স্বামী বিদেশে মধুচন্দ্রিমায় নিয়ে যেতে রাজি হননি। পরে ভারতের গোয়ায় মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা হয়। অথচ গোয়ায় না নিয়ে, কোনো পরামর্শ ছাড়াই নেওয়া হয় অযোধ্যা ও বারাণসীতে। মূলত তার মা রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে শহরটি ঘুরে দেখতে চেয়েছিলেন বলেই এ সিদ্ধান্ত নেন স্বামী। তবুও ভ্রমণে আপত্তি করেননি স্ত্রী এবং কোনো তর্কবিতর্ক ছাড়াই ভ্রমণ শেষ করেন। তবে ফিরে এসে বিচ্ছেদ চান।
তিনি বলেন, তার স্বামী স্ত্রীর চেয়ে পরিবারের সদস্যদের বেশি গুরুত্ব দেন। তবে স্বামী বলেন, ছোট একটি বিষয়কে অযথাই বড় করেছেন তার স্ত্রী।
বর্তমানে এই দম্পতি ভোপাল পারিবারিক আদালতে কাউন্সেলিং নিচ্ছেন।