ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪ ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ
বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবর্ষের বইমেলা উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার পর প্রচুর পাঠকের আনাগোনা শুরু হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমিতে। কিন্তু প্যাভিলিয়ন আর স্টলগুলো গুছিয়ে না উঠতেই শুরু হয় বৃষ্টি। মাঘের শেষ সময়ের এই বৃষ্টি পণ্ড করে দেয় মেলার প্রথম দিনের সব আয়োজন।
বৃষ্টি দিয়ে শুরু হলেও এবারের বইমেলা নিয়ে ভীষণ আশাবাদী প্রকাশকরা। তবে বইমেলার আসল উদ্দেশ্য যেন সাধিত হয় সেদিকেও তারা সচেষ্ট।
আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণী বলেন, আমরা এবারের মেলা নিয়ে ভীষণ আশাবাদী। তবে বইমেলার আসল উদ্দেশ্যের কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের লেখকদের লেখা বইয়ের মেলা। এই মেলায় পাইরেটেড বই বিক্রি হতে দেওয়া যাবে না। এটি পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।
সন্ধ্যায় শুরু হয়ে টানা আধা ঘণ্টার মতো টিপটিপ বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ছিল বাতাসও। বৃষ্টি থেমে গেলে আবার পাঠকদের আনাগোনা শুরু হয়। বিক্রি হয় কিছু বইও। তবে মেলা জমে ওঠেনি একেবারেই। আজ বইমেলার প্রথম শুক্রবার। বৈরী আবহাওয়া না থাকলে প্রকাশকরা আশা করছেন মেলায় জনসমাগম হবে বেশ।
প্রথমদিন মেলায় এসেছিলেন লেখক ও গবেষক মুনতাসীর মামুন, লেখক আহসান হাবীব। মেলা এখনো কোনোভাবেই গুছিয়ে উঠেনি। এখনো স্টল নির্মাণ শেষ হয়নি। পুরো মেলাজুড়ে ছিল আবর্জনার স্তূপ। যেটি আগত সবার মধ্যে বিরক্তি ধরিয়েছে।
আজ বইমেলায় বেলা ১১টায় সিসিমপুর কিডস কর্নারের উদ্বোধন করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা। এ সময় সিসিমপুরের টুকটুকি, হালুম, শিকু, ইকরিসহ অন্যান্য অতিথি এবং শিশুরা উপস্থিত থাকবে।
এবারের মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাসব্যাপী সেমিনারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য ছবি আঁকা, সংগীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকবে। বিকালে মেলার মূলমঞ্চে থাকবে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।