সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে রায়হান শরীফ নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে পায়ে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এই কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
অফিস আদেশে বলা হয়, শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পাসে মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. রায়হান শরীফ কর্তৃক জনৈক শিক্ষার্থীকে গুলি করা সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্তারিত তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নিমিত্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি নির্দেশক্রমে গঠন করা হলো।
অফিস আদেশে তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে কালকেই (মঙ্গলবার) এই ঘটনা তদন্ত করে দেখতে। তাই আমি আমার টিম নিয়ে আগামীকাল সকালেই ঘটনাস্থলে যাব।
তিনি বলেন, প্রথমত আমি শিক্ষার্থীকে দেখতে যাব। এর পর সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলব। তার পর সুচিকিৎসা নিশ্চিতের সব ব্যবস্থা নিব। তখন সাক্ষ্যগ্রহণ করার মতো অবস্থা থাকলে সাক্ষ্য নিব।এর পরে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তার সঙ্গে কথা বলব সাক্ষাৎকার নিব।
কর্তৃপক্ষ, শিক্ষকদের এবং আন্দোলনকারী সবার সঙ্গেই কথা বলব। এর পর আমি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করব।
জানা যায়, সোমবার সিরাজগঞ্জ সদরের শিয়ালকোল এলাকায় অবস্থিত ওই মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ওই শিক্ষার্থীর নাম আরাফাত আমিন। তিনি ওই মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি বগুড়া পৌর শহরের নাটাই পাড়া ধানসিঁড়ি মহল্লার আবদুল্লা আলামিনের ছেলে।
এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।