পবিত্র মক্কা নগরীর মসজিদুল হারামে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিদেশি দর্শনার্থী ও মুসল্লিদের অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে ভিড় বেশি হওয়ায় স্থাসীয় বাসিন্দাদের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
পবিত্র রমজান মাসে উমরা করতে অসংখ্য মুসলিম সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করছেন। এ সময় মসজিদে হারামে মুসল্লিদের চাপ কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার। ১২ হাজার ১০৪টি মসজিদ প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে মক্কার প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে ৪৬০টি মসজিদ।
এরপরও কমছে না ভিড়। এমন অবস্থায় স্থানীয় মুসল্লিদের মক্কার হারাম সীমান্তের যেকোনো মসজিদে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছে,
আল্লাহর মেহমান মক্কাবাসীরও মেহমান। সুতরাং, আসুন তাদের প্রতি পরোপকারী হই এবং তাদেরকে মসজিদুল হারামে জায়গা করে দিই।
মন্ত্রণালয় মক্কার বাসিন্দাদের শহরের অন্যান্য মসজিদে নামাজ আদায় করে যানজট কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে মক্কা নগর ও পবিত্র ভূমি বিষয়ক রয়েল কমিশন ‘অল অব মক্কা ইজ হারাম’ শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইন চালু করে কর্তৃপক্ষ।
রয়েল কমিশন বিবৃতিতে জানায়, মক্কায় যে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি মুসল্লিরা উপলব্ধি করেন তা শুধু মসজিদুল হারামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হারাম সীমান্তের মধ্যে অন্য মসজিদও বিশেষ এই প্রতিদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যেমন- মক্কার আয়েশা মসজিদ, আল রাজি মসজিদ, আল বালাদ আল আমিন কমপ্লেক্স মসজিদ, আবদুল কাদির আল নুসাইর মসজিদ, আল মুহাজিরিন মসজিদ, কিং আবদুল আজিজ মসজিদ, প্রিন্সেস ফাহদা আল-সুদাইরি মসজিদ ও শেখ ইবনে বাজ মসজিদসহ মক্কার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মসজিদগুলো অন্যতম।
ইসলামে মক্কার নিষিদ্ধ তথা সম্মানিত এলাকাকে হারাম বলা হয়। হারামের সীমানার মোট আয়তন ৫৬০ বর্গকিলোমিটার। এর ভৌগোলিক সীমারেখা হলো, মক্কার উত্তরে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত আল-তানিম বিস্তৃত। আর পশ্চিমে জেদ্দা গভর্নরেটের দিকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
দক্ষিণে আরাফাতের ময়দান থেকে পবিত্র মসজিদে হারামের দিকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এবং পূর্বে জারানার দিকে ১৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।