এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ
দেশের ব্যাংকিং খাতে তীব্র হচ্ছে নগদ টাকার (তারল্য) সংকট। ব্যাংকাররা বলছেন, ঋণ কেলেঙ্কারি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচন নীতি ও বিভিন্ন সময়ে সংস্থাটির ভুল পদক্ষেপের কারণেই ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট কাটছে না।
এ পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকগুলোকে অন্য ব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হাত পাততে হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত বুধবারও তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা ধার নিয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি মাসের ১৪ কর্মদিবসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর ধারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এছাড়া সুদ হার ঊর্ধ্বমুখী হলেও এক ব্যাংকের কাছ থেকে আরেক ব্যাংকের ধার নেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, বিশেষ করে কোনোরকম প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ করে কয়েকটি ব্যাংক একীভূতকরণের (মার্জার) পদক্ষেপের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তারা ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিচ্ছেন। এতে ব্যাংকগুলোর মধ্যে তারল্য সংকট আরো ভয়াবহ হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সংকটে থাকা ২০টি ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে গত বুধবার ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদে ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক রেপো থেকে ধার নিয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এছাড়া কলমানি থেকে একইদিন ব্যাংকগুলো ধার করেছে ৪ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ একদিনেই সংকটে থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ধারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা।