সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ট্রেন। আগামী অক্টোবরে চালু হতে যাচ্ছে মোংলা-খুলনা রেল যোগাযোগ। এরইমধ্যে এ রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি মাত্র দুই শতাংশ রেলপথ। চলমান আছে সামান্য ফিনিশিংয়ের কাজ। রেল যোগাযোগ শুরু হলে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে। এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত ও সহজ হবে।
শনিবার দুপুরে মোংলা-খুলনা রেললাইন পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য জানান প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান।
প্রকল্প পরিচালক জানান, মোংলা-খুলনা রেলপথের নির্মাণ কাজ এখন একেবারেই শেষের পথে। আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে এ রেলপথ (খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দরের দিগরাজ) দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরুর পরিকল্পনা নিয়েই কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
২০১০ সালে ট্রানজিট সুবিধার আওতায় মোংলা বন্দর থেকে ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে পণ্য পরিবহন সাশ্রয় ও সহজ করতে এ রেলপথ প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্প মেয়াদের কাজ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরো জানান, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মোংলা-খুলনা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকায়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।
তবে দ্বিতীয় দফা সংশোধনের পর সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। সেই সঙ্গে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর ওপর রেল সেতুর নির্মাণ কাজ করে। বাকি কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
বাগেরহাট-৩ আসনের এমপি ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় আন্তরিক। এ রেললাইনটি মোংলা বন্দর পর্যন্ত সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এতে মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে মোংলা বন্দরের পণ্য পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।