মেক্সিকোর মন্টেরে শহরে ‘ম্যান ওয়াহ ফার্নিচার ফ্যাক্টরি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে চীনের একটি কোম্পানি। এরপর সেখানে বিলাসবহুল ও আরামদায়ক সব চামড়ার সোফা তৈরি করে সেগুলোর গায়ে ‘মেড ইন মেক্সিকো’ লিখে রফতানি করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট ও কস্টকোর মতো বড় বড় বিপণিতে।
যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যকার এই ত্রিমাত্রিক সম্পর্ক ‘নিয়ারশোরিং’ নামে নতুন শব্দে পরিচিত হয়ে উঠেছে মেক্সিকোতে।
ম্যান ওয়াহ কয়েক ডজন চীনা কোম্পানির মধ্যে একটি, যারা সম্প্রতি উত্তর মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থান নিয়েছে যেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের কাছাকাছি এসে পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করা যায়। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে ওয়াশিংটন চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ও কর আরোপ করেছে সেটা এড়ানোও সম্ভব হচ্ছে।
ম্যান ওয়াহ’র জেনারেল ম্যানেজার ইয়ু কেন ওয়েই বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক্যাল দিক চিন্তা করেই আমরা মেক্সিকোতে তাদের কোম্পানি সরিয়ে এনেছি। আমরা এখানে আরো ৩-৪ গুণ উৎপাদনের আশা করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘মেক্সিকোতে আমাদের আসার উদ্দেশ্য হলো ভিয়েতনামে আমরা যে পরিমাণ উৎপাদন করি, সেই পরিমাণ পণ্য এখানে উৎপন্ন করা।’
অপরদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসা বাণিজ্যে চীনের রয়েছে হাজার হাজার বছরের অভিজ্ঞতা। অপরদিকে, চীনের তুলনায় ব্যবসার চিন্তাধারায় পিছিয়ে রয়েছে মার্কিনীরা। চীনারা বাণিজ্যের নামে আমেরিকার ঠিক দোড়গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।
তারা আরো বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার জাল যতোই বিস্তার করুক না কেন এসব জাল ভেদ করে বেরিয়ে যাওয়ার বুদ্ধি এবং ক্ষমতা চীনারা রাখে। এখন দেখার বিষয় বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে কতটুকু কাবু করতে পারবে।