চলতি মাসের ২১ তারিখেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-ভুক্ত অন্তত ৪টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটিই নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আরটিই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনকে যৌথভাবে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে আয়ারল্যান্ড ও স্পেন এবং স্লোভেনিয়া ও মাল্টার মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের এসব দেশ আগামী ১০ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের বিষয়ে অনুষ্ঠিতব্য ভোটের অপেক্ষায় রয়েছে। ওই দিন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে।
গত ২২ মার্চ দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্লোভেনিয়া জানায়, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণে ঐকমত্যে পৌঁছেছে তারা।
ফিলিস্তিনের অধিকারের বিষয়ে স্পেন এবং আয়ারল্যান্ডের লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সাত মাসের যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি আর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এই ঘটনায় যখন বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন ও জনমত তীব্র আকার ধারণ করছে, তখন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের চার দেশ। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলে শান্তির জন্য দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের আহ্বানও জোরাল হচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
১৯৮৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তত ১৩৯টিই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে।
ইসরায়েল বলেছে, ওই চার দেশের পরিকল্পনা ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য পুরস্কারের’ শামিল; যা আলোচনার মাধ্যমে গাজা সংঘাতের সমাধানের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেবে।