প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত

জাতীয় স্লাইড

মে ২৯, ২০২৪ ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এটি তৃতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা হিসেবে পরিচিত।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন। এই নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অনুসন্ধান করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ জুন এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এই দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল পরদিন প্রকাশ করা হয়। চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়।

এদিকে ‘মাদারীপুরে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ঢাকায় সমাধান : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (তৃতীয় ধাপ)’ শিরোনামে গত ২৫ এপ্রিল একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে প্রশ্নপত্র ফাসের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রত্যাশী জুয়েল রতন দাশসহ ১৬ প্রার্থী চলতি মাসে ওই রিটটি করেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী লিটন আহমেদ ও জহিরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

রুলে গত ১৪ জুন দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য সুষ্ঠু পরীক্ষা অনুষ্ঠানে ব্যর্থতা বা নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *