প্রায় দুই যুগ পর উত্তর কোরিয়া সফরে গিয়ে কিম জং-উনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনিতেই উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক বেশ নাজুক। এর মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় পুতিনের সফর ঘিরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে আরও।
অংশীদারিত্ব চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় রুশ রাষ্ট্রদূত জর্জি জিনোভাইবকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পড়শি দক্ষিণ কোরিয়া। খবর রয়টার্সের
শুক্রবার বিকালে সিউলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয় রাষ্ট্রদূত জর্জি জিনোভাইবকে। বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম হং-কিউন।
রুশ রাষ্ট্রদূত জিনোভাইবকে সতর্ক করে সিউলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যে পথে হাঁটতে যাচ্ছে, তাতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে রুশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে জিনোভাইবকে কিম হং-কিউন বলেন, রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে সামরিক সমর্থন দিলে তা দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তায় ক্ষতির কারণ হবে এবং এতে মস্কো-সিউলের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়া অবশ্যম্ভাবী।
অন্যদিকে রুশ রাষ্ট্রদূত দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তিতে তৃতীয় কোনো লক্ষ্যবস্তু বানানো তাদের উদ্দেশ্য নয়।
ওই বৈঠকের পর সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোষ্টে রুশ দূতাবাস লিখেছে, রাষ্ট্রদূত (জিনোভাইব) বলেছেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার সহযোগিতার লক্ষ্য কোনো তৃতীয় দেশ নয়।
কী আছে ওই অংশীদারিত্ব চুক্তিতে?
ইউক্রেন ইস্যুতে নির্মোহভাবে রাশিয়ার বিপক্ষে রয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে সামরিক এবং আর্থিক সহায়তাও করছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি করেছেন পুতিন। এ চুক্তির ফলে তৃতীয় কোনো দেশের আগ্রাসনের মুখোমুখি হলে একে অপরকে রক্ষা করতে সামরিক সহায়তা নিশ্চিত করবে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া।