কেবল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য গোসল করা হয় এ ধারণা ভুল। কেননা গোসলে কাটে ক্লান্তি, শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখা ও শরীর-মন তরতাজা থাকে।
পাশাপাশি এমন কিছু ঘরোয়া উপাদান রয়েছে, যেগুলো গোসলের পানিকে আরও উপকারী করে তোলে। এগুলো ব্যবহার করলে শুধু শরীর নয়, তরতাজা হবে মনও।
পানির বালতিতে মিশিয়ে নিতে পারেন গুঁড়ো হলুদ। হলুদের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকে সংক্রমণজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বর্ষাকালে ত্বকে ছত্রাকঘটিত নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। হলুদ-পানিতে স্নান করলে এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আমাদের ত্বক সরাসরি সোডিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শোষণ করতে সক্ষম। সামুদ্রিক লবণ বা সি সল্ট মিশিয়ে নিতে পারেন গোসলের পানিতে। পাশাপাশি আরও কিছু ভেষজ মেশান। এতে শরীর যেমন ঝরঝরে হবে, তেমনি শরীরে ব্যথা থাকলে কমবে সেটাও। ১/৪ কাপ সামুদ্রিক লবণ, ১/৪ কাপ এপসম লবণ (ম্যাগনেশিয়াম সালফেট), ১/৪ কাপ বেকিং সোডা, ১ টেবিল চামচ করে শুকনো ল্যাভেন্ডারের কুঁড়ি, রোজমেরি এবং থাইম পাতা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। ক্লান্তি কাটবে গরমের।
এক বালতি পানিতে একটি বা দুটি গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। এতে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না সহজে। ত্বক মোলায়ম এবং উজ্জ্বল হবে।
একটি বড় শসা ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। এই রস গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন। ২ কাপ এপসম লবণ এবং ৩-৪টি পেপারমিন্ট টি ব্যাগ ফেলে দিন। এর সঙ্গে চাইলে পেপারমিন্ট এসেনসিয়াল অয়েল কিংবা পছন্দমতো রিজ্যুভিনেটিং অয়েল মেশানো যায়। শরীর ঠান্ডা ও চনমনে থাকবে।
এক বালতি পানিতে দুই চামচ দুধ মিশিয়ে নিন। এই পানিতে স্নান করলে ত্বকের মৃত কোষ দ্রুত ঝরে যাবে। ত্বক রোদে পুড়ে গিয়ে থাকলে সেই পোড়া দাগও দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে দুধমিশ্রিত পানি।
বারবার সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জিতে ভুগলে এই পদ্ধতিতে গোসলের পানি তৈরি করুন। কুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা পছন্দের এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। বাথ সল্ট বানানোর জন্য লাগবে ২ কাপ এপসম লবণ, ১ কাপ সামুদ্রিক লবণ, আধ কাপ বেকিং সোডা, ১-২ টেবিল-চামচ শুকনো ল্যাভেন্ডার কুঁড়ি, ১টি পেপারমিন্ট টি-ব্যাগ, ৫ ফোঁটা করে ইউক্যালিপটাস অয়েল, ল্যাভেন্ডার, পেপারমিন্ট ও টি-ট্রি এসেন্সিয়াল অয়েল এবং ২ টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল বা অন্য কোনও তেল। সব উপকরণ মিশিয়ে একটা জারে ভরে রাখুন। গোসলের সময় কুসুম গরম পানিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।