নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে কাঁদিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে শ্রীলংকা। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল লঙ্কানরা।
ডাম্বুলাতে নবম আসরের ফাইনালে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিক শ্রীলংকা।
এর আগের ৮ আসরের মধ্যে ৭বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। বাকি ১ বার শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। আর নবম আসরের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা।
ভারতের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় শ্রীলংকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন গুনারত্নে। তার বিদায়ের পর ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।
সামাবিক্রমাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন লঙ্কান দলপতি চামারি আতাপাত্তু। এই জুটির ব্যাট থেকে আসে ৯৩ রান।
দিপ্তী শর্মার ঘূর্ণিতে ৬১ রানে কাটা পড়েন আতাপাত্তু। তার বিদায়ে জয়ের স্বপ্ন দেখে ভারত। তবে তাদের সেই আশায় গুড়েবালি।
দিলহারিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সামারাবিক্রমা। সেই সঙ্গে ফিফটিও তুলে নেন তিনি। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন সামারাবিক্রমা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
ম্যাচের সপ্তম ওভারে এ জুটি ভাঙেন দিলহারি। তার ঘূর্ণিতে সাজঘরের পথ ধরেন শেফালি। আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ১৯ করেন তিনি।
ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি উমা ছেত্রি (৯) ও হারমান (১১)। পরে উইকেটে এসে আক্রমণাত্ম ব্যাটিং করেন জেমিমাহ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২৯ রান।
দারুণ ব্যাট করতে থাকা স্মৃতি অর্ধশতক তুলে নেন। যদিও ৬০ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে রিচা ঘোষের (৩০) তাণ্ডবে ভারতের ইনিংস থামে ১৬৫ রানে।
শ্রীলংকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন কাভিশা দিলহারি।