সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কি.মি. ভেতরে ঢুকে ক্যাম্প চীনা সেনাবাহিনীর

সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কি.মি. ভেতরে ঢুকে ক্যাম্প চীনা সেনাবাহিনীর

আন্তর্জাতিক স্লাইড

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪ ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে ক্যাম্প করে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএএল)। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের আনজাও জেলার কাপাপু এলাকায়। ভারত জানিয়েছে, চীনা সেনারা ওই জেলায় প্রবেশ করেছিল এবং চলে যাওয়ার আগে কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করেছিল। অরুণাচলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজফাই এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দ্য ডনলিটপোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাপাপু এলাকায় গভীর বনে আগুন ধরানো, পাথরের গায়ে রং ব্যবহার করে লেখা চীনের নাম এবং চীনা খাদ্যসামগ্রীর ছবি দেখে বোঝা যায়, সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ আগে চীনের সেনারা ঢুকেছিল।

ছবিতে দেখা যায়, পাথরের গায়ে ইংরেজিতে ২০২৪ সাল লেখা রয়েছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে নিজেদের মালিকানা দাবি করার অংশ হিসেবে অনুপ্রবেশের পর চীনা সেনাবাহিনী এসব কৌশল ব্যবহার করে বলে জানা যায়।

নিউজফাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশকে বিভক্তকারী ম্যাকমোহন লাইনের হাদিগ্রা পাসের কাছের কাপাপুতে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) একটি ক্যাম্পের অবস্থান রয়েছে। আর আনজাও জেলার নিকটতম প্রশাসনিক এলাকা চাগলাগাম ম্যাকমোহন লাইন থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়া চাগলাগাম থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে পার্বত্য এলাকায় গ্লাইতাকরু পাসের অবস্থান।

এ ঘটনার পর ভারত তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। অরুণাচল রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী দাসাংলু পুল জানিয়েছেন, স্থানীয়দের মতে, চীনা সেনারা কাপাপু জেলায় প্রবেশ করেছিল এবং চলে যাওয়ার আগে কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করেছিল।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা অনুপ্রবেশের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটে থাকে। পিএলএ সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছে এটি মিথ্যা। কারণ এইখানকার সীমানা সঠিকভাবে চিহ্নিত না হওয়ায় এটি ঘটে থাকে। দুই পক্ষের সেনারা টহল দেওয়ার সময় একে অন্যের ভূখণ্ডে না বুঝেই ঢুকে পড়ে। তারা কখন যে শত্রুর ভূখণ্ডে রয়েছে তা বুঝতে পারে না।

এর আগে, ২০২২ সালের আগস্টে, পিএলএ সেনারা হাদিগ্রা হ্রদের কাছে নিজেদের অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম তদারকি করে বলে জানা গেছে। একই বছরের ১১ আগস্ট চাগলাগাম থেকে ৩০ কিলোমিটারেরও কম দূরের ওই এলাকার নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণ করে চীনের সামরিক বাহিনীর এলআরপি টহল দল। ২০২১ সালে অরুণাচল প্রদেশে কমপক্ষে ৬০টি ভবনের দ্বিতীয় ক্লাস্টারের নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছে চীনা সামরিক বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *