সিনওয়ারের মৃত্যুতে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি হামাস-হিজবুল্লাহর

সিনওয়ারের মৃত্যুতে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি হামাস-হিজবুল্লাহর

আন্তর্জাতিক

অক্টোবর ২১, ২০২৪ ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী ইরান সমর্থিত সংগঠন হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করেছে ইসরাইল। যাকে নিজেদের অন্যতম বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে ইসরাইল। তাদের ধারণা সিনওয়ারের মৃত্যুর পর এই অঞ্চলে আর মাথা চারা দিতে পারবে না হামাস। তবে দমে যাওয়ার পাত্র নয় হামাসও। সিনওয়ারের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংগঠনটি। তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে লেবাননের আরেক সংগঠন হিজবুল্লাহ।

সিনওয়ারের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরান সমর্থিত হামাস ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। এদিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার কথা বলেছে ইরানও। তাদের মতে, সিনওয়ারের মৃত্যু শুধুমাত্র ‘প্রতিরোধের চেতনাকে’ উজ্জীবিত করবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সিনওয়ারের হত্যাকে একটি মাইলফলক বলে অভিহিত করে বলেছেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধুরা, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।’

সিরিয়া, ইরাক এবং ইয়েমেনে ইরান ও তার জঙ্গি মিত্রদের উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের সামনে অশুভ অক্ষকে থামানোর একটি বড় সুযোগ রয়েছে।’

এর প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলছে, ‘জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে শুধুমাত্র গাজায় আক্রমণ বন্ধ করলে, ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করলেই কেবল তাদের বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। আর আমাদের ভাই, নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাত … কেবলেই হামাসের শক্তি, সংকল্প এবং আমাদের প্রতিরোধকে বাড়িয়ে তুলবে।’

অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে যুদ্ধে নামা আরেক সংগঠন হিজবুল্লাহ বলেছে, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একটি নতুন পর্ব শুরু হচ্ছে। এখন থেকে ইসরাইলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে। ইসরাইলি শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধে একটি নতুন এবং ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে রূপান্তরের ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। প্রথমবারের মতো নির্ভুল নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।’

এদিকে লেবাননে কর্মরত একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেছেন, সিনওয়ারের মৃত্যু যুদ্ধের অবসান ঘটাবে বলে আশা করা ভুল। আমরা আশা করেছিলাম, সিনওয়ার থেকে পরিত্রাণ পাওয়াই হবে টার্নিং পয়েন্ট। যার ফলে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে… তারা তাদের অস্ত্র নামানোর জন্য প্রস্তুত হবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমরা আবারও ভুল করেছি।’

একই কথা বলছেন মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমরা একটি ব্যাপক আঞ্চলিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে আছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *