অক্টোবর ২৫, ২০২৪ ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ
পূর্ব লাদাখে নিজেদের বিতর্কিত সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে টহল ব্যবস্থা নিয়ে একটি চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে ভারত ও চীন।
এরই মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা অনুযায়ী দুদেশের সেনাই পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর ২০২০ সালের মে মাসের আগেকার অবস্থানে ফিরে গেছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার এনডিটিভির খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
জয়শঙ্কর বলেছেন, পূর্ব লাদাখের এলএসিতে ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ (মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনাবাহিনীর পেছানো) প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের মে মাসের আগে দুই পক্ষের সেনাবাহিনী এলএসসি যে এলাকা পর্যন্ত টহলদারি করতে যেত, সাড়ে ৫ বছর পরে সেই ব্যবস্থাই পুনর্বহাল হচ্ছে।
সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বিবৃতির আগে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশরি জানিয়েছেন, সংঘাতের অবসান ঘটাতে ‘টহলদারির সীমানা’ নির্ধারণের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত এবং চীন। তিনি বলেছেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে আমরা চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে সহমতে এসেছি।’
২২ ও ২৩ নভেম্বর ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর (ভারত, রাশিয়া, চীন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে রাশিয়া যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে নয়াদিলিও বেইজিং সমঝোতায় পৌঁছল। ভারতের পক্ষ থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এলএসি পেরিয়ে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছিল চীনা ফৌজের বিরুদ্ধে।
উত্তেজনার আবহে ওই বছরের ১৫ জুন গালওয়ানে চীনা হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় সেনাসদস্য। গালওয়ানে এ ঘটনার পর থেকেই ক‚টনৈতিক ও সামরিক স্তরে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে চুশুল-মলডো পয়েন্টে দুই সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে এলএসির কিছু এলাকায় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনাসদস্য পিছানো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনাসদস্য সংখ্যা কমানো’র (ডিএসক্যালেশন) বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল।
কিন্তু প্যাংগং হ্রদ লাগোয়া ফিঙ্গার এরিয়া, ডেপসাং উপত্যকাসহ বিভিন্ন এলাকা নিয়ে সমস্যা মেটেনি। তাছাড়া, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে ভারতীয় জওয়ানেরা ফিঙ্গার-৮ পর্যন্ত টহল দিলেও নতুন ব্যবস্থায় ফিঙ্গার-৫ পেরোতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ উঠে। সেই ব্যবস্থা আবার চালু হচ্ছে জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘দুই বৃহৎ প্রতিবেশীর মতপার্থক্য দূর করার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হয়েছে।’