কানাডায় খলিস্তানপন্থি নেতা খুনের ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ততার দিকে যাচ্ছে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে নয়াদিল্লি থেকে কানাডার আরও ৪০ কূটনীতিককে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার ‘দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কানাডায় গত জুন মাসে খুন হন নির্বাসিত শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। দেশটির সরকার ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে। এমনকি কানাডায় নিযুক্ত ‘র’-এর ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পরই অটোয়ায় নিযুক্ত ওই গোয়েন্দাপ্রধানকে বহিষ্কার করে কানাডা।
গত ১৮ জুন কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের এক শহরতলিতে হরদীপকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এটি কানাডার শিখ অধ্যুষিত এলাকা। ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের পর কানাডাতেই সবচেয়ে বড় শিখ সম্প্রদায় রয়েছে।
ভারতের উত্তরাঞ্চল ও পাকিস্তানের কিছু অংশের সমন্বয়ে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ছিলেন হরদীপ। ভারতে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে নয়াদিল্লি। তবে এ অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
এর আগে এক বিবৃতিতে কানাডার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তারা জানায়, কানাডার কোনো সহিংস ঘটনায় ভারত সরকারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ভারত সরকার আরও বলেছে, আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ, যাদের আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার