অক্টোবর ৭, ২০২৩ ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ
ওয়ানডে বিশ্বকাপে মায়ের সবচেয়ে দুর্ভাগা সন্তান বলা হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রোটিয়ারা ক্রিকেটের একমাত্র পরাশক্তি, যারা কখনো বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলতে পারেনি। দুর্দান্ত খেলে সেমিফাইনালে ওঠার পর বিচিত্র সব কারণে বারবার তাদের স্বপ্ন ভেঙেছে। আর দক্ষিণ আফ্রিকার গায়ে সেঁটে গেছে অভিশপ্ত ‘চোকার্স’ তকমা। এবার কি ভাগ্য বদলাবে প্রোটিয়াদের?
সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকাকে নিয়ে এবার তেমন উচ্চাশা নেই সমর্থকদের। বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা লংকানরা মাঝে টানা ১৩টি ওয়ানডে জিতলেও ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ফাইনালে মাত্র ৫০ রানে অল আউট হয়ে লজ্জায় ডুবেছিল। এরপর প্রস্তুতি ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের কাছে।
এছাড়া চোটের কারণে বিশ্বকাপ দলে নেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাসহ বেশ কয়েকজন বড় তারকা। এসবের একটি ভালো দিকও আছে। প্রত্যাশার চাপ না থাকায় তারুণ্যের শক্তিতে জ্বলে উঠতে পারে শ্রীলংকা।
সেটাই বললেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা, ‘বাইরের কথায় আমরা কান দিচ্ছি না। ভালো করার লক্ষ্য নিয়ে এখানে এসেছি। আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই।’
দিল্লির উইকেট কিছুটা স্পিনসহায়ক হওয়ায় জয়ে শুরু করার স্বপ্ন দেখছেন শানাকা। শ্রীলংকার স্পিন আক্রমণ দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ভালো। তবে পেস বোলিং ও ব্যাটিংয়ে এগিয়ে প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে আÍবিশ্বাসের জ্বালানি তারা পেয়ে গেছে। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাসহ দলের সাতজনের এটি প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
অতীতের ভূত তাই এবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাড়া করবে না বলে বিশ্বাস দলটির তারকা ব্যাটার ডেভিড মিলারের, ‘আমি নিজেদের কখনোই চোকার্স ভাবি না। মানুষের ওপর এর প্রভাব থাকতে পারে কিন্তু আমার এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই। দলে অনেক নতুন খেলোয়াড়। খোলা মনে আমরা নতুন গল্প লেখার চেষ্টা করব।’
ওয়ানডেতে দুই বছর পর দেখা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলংকার। গত বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের কাছে নয় উইকেটে হেরেছিল লংকানরা। দুদলই অবশ্য বিদায় নেয় লিগপর্ব থেকে।