অক্টোবর ২২, ২০২৩ ১০:১১ পূর্বাহ্ণ
টানা চার বছর বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর পাকিস্তানে ফিরেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। শনিবার দুপুরে তাকে বহনকারী প্লেনটি ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বোঝাপড়ায় আসতে হবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে। কারণ পাকিস্তানের নীতি-নির্ধারণীতে দেশটির সেনাবাহিনীর ভূমিকা অনেক বেশি। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের জন্যও এই নেতাকেই দায়ী করে থাকেন অনেকে। তা নিয়ে একটি সমাধানে আসতে হবে।
নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক ইতিহাসে পাকিস্তানের ক্ষমতাশালী সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেশির ভাগ সময়ই তার ছিল সাপে-নেউলে সম্পর্ক। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল সেনাবাহিনী। এমনকি পাকিস্তান ছাড়ার আগেও দুর্নীতির অভিযোগে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
নওয়াজের সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ছিল দীর্ঘকালীন শত্রুতা। তবে পাকিস্তানের রাজনীতি পর্যবেক্ষক ওয়াজাহাত মাসুদ মনে করেন, এসবের পরও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী হয়তো নওয়াজকে আরেকটি সুযোগ দিতে চাইছে।
মাসুদ বলেন, প্রথমে সেনাবাহিনী ইমরান খানকে নিরাপদ ভেবেছিল। কিন্তু যখনই তারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল তখনই ইমরানকে সরিয়ে দিয়েছে।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে নওয়াজের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য নাদিম আফজাল চ্যান বলেন, তিনি (নওয়াজ) ‘ইয়েস স্যার’ বলার মতো ভূমিকা পালন করবেন না। তবে অনেকে মনে করছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।