নভেম্বর ৪, ২০২৩ ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ
জীবনে কোনোদিন মাথাব্যথা হয়নি এমন লোক বোধহয় খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। অনেকেই প্রায়ই মাথা ব্যাথার যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন। মাঝেমাঝেই মাথার বাম পাশে কিংবা মাথার পিছন দিকটায় ব্যাথা করতে পারে। মাথা ব্যাথার একটা বড় কারণ হলো মাইগ্রেন। তবে এটি কোনো সাধারণ মাথা ব্যাথা নয়।
বিশ্বে প্রতি সাতজনের একজন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন। কর্মস্থলে থাকার সময়ও অনেকের মাথাব্যথা শুরু হয়। এ রকম সমস্যায় বারবার ভুগলে মাইগ্রেন রেসকিউ কিট ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মধ্যে আছে বরফের পট্টি, ফেইস মাস্ক, ইয়ার প্লাগ, ওষুধ আর থাকবে জরুরি ফোন নম্বর।
হঠাৎ তীব্র মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে যা করবেন
» আলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
» কম্পিউটারের আলো সহ্য না হলে স্ক্রিনের ওপর অ্যান্টি গ্লেয়ার লাগাতে পারেন।
» গন্ধ নেই এমন জায়গায় চলে যান।
» শব্দের কারণে সমস্যা হলে শব্দ হ্রাসের ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন।
» কিছু সময়ের জন্য নির্জন কক্ষে চলে যান।
প্রতি মাসে অন্তত ১৫ দিন মাইগ্রেনের ব্যথা হলে তা ক্রনিক মাইগ্রেন। বিশ্বের ১ কোটি ৪ লাখ মানুষ ক্রনিক মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন।
যাঁরা এ সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের মন-মেজাজে পরিবর্তন আর ঘুমের সমস্যাও দেখা দেয়। দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মানসিক ধাক্কা, বিষণ্নতা, মানসিক অবসন্নতার কারণে মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। মানসিক চাপ খুব বেশি হলে বারবার মাইগ্রেন হতে পারে।
মাইগ্রেনের বারবার ফিরে আসা ঠেকাতে ও প্রতিরোধে এইমোভিগ, আজভি, এমগালিটির মতো ওষুধ এসেছে। মাইগ্রেন বন্ধ করতে বা স্থায়িত্ব কমাতে এসেছে উব্রেলভির মতো ওষুধ। তবে সব ওষুধ সবার কাজে দেয় না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে।