নভেম্বর ১৩, ২০২৩ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেছেন, দখলদার ইসরাইলি সেনারা গাজার হাসপাতাল থেকে কোনো রোগীকে অন্যত্র সরাচ্ছে না; তারা রোগীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে রাস্তায় বের করে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে তাদের মূলত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে তারা।
তিনি জানিয়েছেন, আল-রানতিসি এবং তার্কিস হাসপাতালে যে ৩ হাজার ক্যান্সার রোগী ছিলেন তাদের জোর করে বের করে দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। এখন এসব রোগী নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে রয়েছেন।
জ্বালানির অভাবে গাজা উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহৎ হাসপাতাল আল-কুদস ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। ছোট্ট এ অঞ্চলটির বৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফাও বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। বর্তমানে গাজার বড় হাসপাতালগুলো ঘিরে রেখেছে ইসরাইলি সেনারা।
শনিবার তারা আল-শিফার ভেতর হামলা চালায়। এছাড়া জ্বালানির অভাবে সেখানকার শিশু ওয়ার্ডটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে হাসপাতালটিতে থাকা ৪৫ শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে শনিবার ইসরাইলি সেনাবাহিনী প্রস্তাব দেয় আল-শিফা হাসপাতাল থেকে শিশুদের অন্য কোনো নিরাপদ হাসপাতালে সরিয়ে নিতে সহায়তা করবে তারা। তবে ওই শিশুদের কিভাবে সরানো হবে সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।