নির্বাচনপূর্ব অনিয়মের বিষয় নিষ্পত্তি করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়োগ করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশন এ সংক্রান্ত একটি চাহিদাপত্র পাঠিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়ে। পরে নিয়মানুযায়ী তা সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনের পর যায় আইন মন্ত্রণালয়ে। সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়।
কমিটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, আচরণবিধি ও ভীতি, বাধা, দমন বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশসহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করে- এমন বিষয়গুলো অনুসন্ধানসহ সুপারিশ করে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি প্রাপ্ত তথ্য বা কমিটির কাছে দাখিলকৃত অভিযোগ বা ঘটনাসমূহ অনুসন্ধান করতে পারবে। ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত অভিযোগ ও ঘটনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন/রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসার/নির্বাচনি দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা কোনো অভিযোগ পেলে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন কমিশনের কাছে পাঠাবেন।
এক্ষেত্রে অনুসন্ধান কমিটি কোনো ব্যক্তিকে তার সামনে হাজির হতে ও সাক্ষ্য প্রদানে এবং প্রয়োজনীয় দলিল বা বস্তু দাখিল করতে দেওয়ানি আদালতের মতো ক্ষমতাবান হবেন। কমিটির কার্যক্রম প্যানেল কোড-এর ১৯৩ ও ২২৮ ধারায় বিচারিক কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে।
কমিটি দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচনপূর্ব কোনো অনিয়ম সংঘটিত হলে তার অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। এক্ষেত্রে অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত জ্বালানি ও আপ্যায়ন ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
এছাড়া অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার ব্যাপারে কমিটির চাহিদা অনুসারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।