দেশের সবচেয়ে পুরাতন গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। কূপটিতে ৪৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করছে সিলেট গ্যাসফিল্ডস কর্তৃপক্ষ।
রোববার বেলা ১১টার দিকে ড্রিলিং স্টিম টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু করেন সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের কর্মকর্তারা। প্রায় পাঁচ মাস আগে ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হরিপুর গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপের খনন শুরু হয়।
গ্যাসফিল্ডের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ২৬শ মিটার পর্যন্ত খননের পর এই কূপ থেকে গ্যাস পাওয়া গেছে। এখানে গ্যাসের যে চাপ আছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে সর্বনিম্ন ৪৩ বিলিয়ন ঘনফুট থেকে সর্বোচ্চ ১০৬ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে কূপটি থেকে প্রতিদিন ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের সবচেয়ে প্রাচীন গ্যাসক্ষেত্র সিলেটের হরিপুর। ১৯৫৫ সালে গ্যাসক্ষেত্রটির সন্ধান পাওয়ার পর এই অঞ্চলে প্রতিনিয়তই চলছে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের কাজ। সবশেষ মের্সাস স্লুমবার্গার সিয়াকো কোম্পানির ত্রিমাত্রিক জরিপে জানা যায় এই ক্ষেত্র থেকে প্রায় ৪০৬ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। সিলেট গ্যাসফিল্ড থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হয় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।