নভেম্বর ২৯, ২০২৩ ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন ও কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ডাকা অষ্টম দফায় বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টায় শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশজুড়ে টানা ২৪ ঘণ্টা চলবে এ সর্বাত্মক অবরোধ।
দেশব্যাপী এই সর্বাত্মক অবরোধের আওতায় থাকবে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ। আর ২৪ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হতেই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে ১২ ঘণ্টা হরতাল পালন করবে বিএনপি-জামায়াত ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সরকারবিরোধী দলগুলো।
সপ্তম দফা অবরোধের শেষ দিন সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একই সঙ্গে দুই কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি জানান, বুধবার ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার অবরোধ এবং বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচি পালন করা হবে। পরে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
অবরোধ শুরুর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মগবাজার এলাকায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনকে মেরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ছাত্রলীগ। যদিও হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিএনপির কিছু নেতাকর্মী বুধবারের (২৯ নভেম্বর) কর্মসূচির সমর্থনে মগবাজার ওয়ারলেস এলাকায় মিছিলের জন্য জড়ো হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে, তারা দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তখন স্থানীয় জনগণ খোকন নামে একজনকে আটক করে। বর্তমানে সে হাতিরঝিল থানায় আছে।
ওদিকে টানা অবরোধ-হরতালের আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংঠনের নেতাকর্মীরা।