নভেম্বর ২৯, ২০২৩ ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ
নিত্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রতিনিয়ত কার্বন নির্গত হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াতে যার ভ‚মিকার শেষ নেই। শুধু উষ্ণতা নয়, কার্বন নিঃসরণে প্রাণহানিজনিত ক্ষতির পরিমাণও লক্ষণীয়ভাবে বাড়ছে। আর সেই ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করতে তৈরি হয়েছে নতুন জ্বালানি পদ্ধতি।
ব্রিটিশ এয়ারলাইন্স ভার্জিন আটলান্টিক পরিচালিত ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে উড়েছে। এটি সরকারি তহবিলে পরিচালিত হয়েছে।
বিভিন্ন উৎস যেমন-ফসল, গৃহস্থালির বর্জ্য এবং রান্নার তেল থেকে টেকসই বিমান জ্বালানি (এসএএফ) তৈরি করা যেতে পারে। তবে এতে দুই ধরনের জ্বালানি উৎস ব্যবহার করা হয়েছে। যার ৮৮ শতাংশ বর্জ্য চর্বি এবং বাকিটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভুট্টা উৎপাদনের বর্জ্য। বিভিন্ন পরীক্ষা এবং বিশ্লেষণের পর ফ্লাইটটিকে চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্যের বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়। ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক রোলস-রয়েস এবং এনার্জি জায়ান্ট বিপিসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা এই প্রকল্পে জড়িত।
অ্যাভিয়েশন শিল্পে কার্বন নির্গমন কমানো বেশ কঠিন বলে ধারণা করা হয়। তবে এয়ারলাইন্স কর্মকর্তারা, কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য এসএএফ-কে সবচেয়ে কার্যকর উপায় মনে করছেন। এসএএফে জ্বালানি ব্যবহার করার সময়ও কার্বন নির্গত হয়। কিন্তু এটি কার্বন নির্গমন ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।
ভার্জিন আটলান্টিকের প্রধান নির্বাহী শাই ওয়েইস বলেছেন, মঙ্গলবার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট প্রমাণ করছে, জীবাশ্ম জ্বালানির (তেল, কয়লা, গ্যাস) পরিবর্তে টেকসই বিমান জ্বালানি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিকে সীমিত করতে সক্ষম।
তবে তিনি স্বীকার করেছেন, জ্বালানি বেশি ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে ফ্লাইটের দাম বেশি হবে। যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা এবং এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলছেন, যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এর মাধ্যমে কার্বন নির্গমন ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্যে আনা সম্ভব।