ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ
৫ বছরেরও বেশি সময় পর আজ বরিশালে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভায় ১০ লাখ লোকসমাগমের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বিকালে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে একদিকে যেমন বইছে আনন্দের বন্যা, তেমনই বরিশাল নগরীকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ঝকঝকে-তকতকে হয়ে গেছে প্রাচ্যের ভেনিসখ্যাত বরিশাল। নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে এরই মধ্যে শেষ হয়েছে নগরীর সড়কগুলোর ছোটখাটো সংস্কার। বিশেষ করে যেসব পথে আওয়ামী লীগ সভাপতির গমনাগমনের সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব সড়কের যাবতীয় ত্রুটি এরই মধ্যে দূর করেছে সিটি করপোরেশন। সড়ক বিভাজককে নতুন করে রং করার পাশাপাশি সড়কদ্বীপগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল রঙে। তবে এবার প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে নগরীতে কোনো তোরণ নির্মিত হয়নি। তাকে স্বাগত জানাতে কোনো ব্যানার-ফেস্টুনও লাগানো হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক দলের সদস্য বলরাম পোদ্দার জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়, জননেত্রী বরিশালে আসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসাবে। তিনি এখানে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেবেন। যেহেতু এখন নির্বাচনকালীন, তাই তোরণ নির্মাণ কিংবা ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। এ কারণেই কঠোরভাবে বিষয়টি প্রতিপালন করছি আমরা। প্রধানমন্ত্রীও চান নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে সবকিছু হোক। তাই দলীয় সভাপতির এবারের আগমনে কোনোরকম তোরণ নির্মাণ কিংবা ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়নি।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে গঠিত কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি বলেন, দক্ষিণবঙ্গের লাখো জনতা এখন অধীর অপেক্ষায় আছে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের।