ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩ ১২:১৪ অপরাহ্ণ
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা জুমার নামাজের গুরুত্ব বর্ণনা করে পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলছেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
অর্থ: ‘হে ঈমানদারগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ’। (সূরা: জুমা, আয়াত: ৯)
‘জুমা’ শব্দের অর্থ এক জায়গায় জড়ো হওয়া বা কাতারবদ্ধ হওয়া। শুক্রবার মসজিদে জোহরের চার রাকাতের পরিবর্তে কাতারবদ্ধ হয়ে দুই রাকাতের যে ফরজ নামাজ আদায় করা হয়, ইসলামের পরিভাষায় সেটিই সালাতুল জুমা বা জুমার নামাজ।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রথম জুমার নামাজ
বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার এই চার দিন কুবায় অবস্থান করেন। কুবার অধিবাসীরা তাদের জন্য মসজিদ নির্মাণ করলেন।
জুমার দিন তিনি (সা.) কুবা থেকে বের হলেন। বনি সালেম বিন আওফ গোত্রের নিকট আসতেই জুমার নামাজের সময় হয়ে গেল। সেখানের উপত্যকায় অবস্থিত মসজিদেই রাসূলুল্লাহ (সা.) জুমার নামাজ পড়লেন। এটি ছিল মসজিদে নববী নির্মাণ করার পূর্বের জুমা আদায় এবং খুতবা প্রদান। এ নামাজে তিনি (সা.) নিজেই ইমামতি করেন। এ দিন জুমার নামাজের আগে রাসূলুল্লাহ (সা.) দুটি খুতবা দেন। তখন থেকেই জুমার নামাজের জামাতের আগে দুটি খুতবা প্রদানের নিয়ম প্রচলিত রয়েছে।
ইল্লেখ্য, ওই মসজিদটি ‘মসজিদে বনু সালেম বিন আওফ’ হিসেবে বিখ্যাত। এখানেই সর্ব প্রথম জুমার নামাজ আদায় করা হয়।