এপ্রিল ১০, ২০২৪ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে বেশ কিছু সংখ্যক পণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তুরস্ক। গাজায় ছয়মাসের যুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এটিই আঙ্কারার নেয়া প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শ্রেণির ৫৪টি পণ্য রফতানিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে- লোহা, মার্বেল, ইস্পাত, সার, নির্মাণ সামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও বিমানের জ্বালানি।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের শুরু থেকে এর নিন্দা জানিয়ে আসছে তুরস্ক। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে তারা। গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের বিচারের দাবিকেও তুরস্ক সমর্থন দিয়েছে এবং গাজায় হাজার হাজার টন সাহায্য পাঠিয়েছে।
তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া কথা বলে আসলেও তুরস্ক দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে। এ বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তুরস্কের ভেতরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি উড়োজাহাজ থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলার তুরস্কের অনুরোধ ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করে। এরপরই ইসরায়েলের পণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল তুরস্ক।
এর জবাবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “তুরস্ক একতরফাভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। হামাসকে সমর্থন দিতে তুরস্ক আবারও নিজ দেশের জনগণের অর্থনৈতিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে। আমরা এর পাল্টা জবাব দেব।”
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের। এই হামলার জবাবে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ছয় মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা