ইয়েমেনের হুতিরা সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে রাজি আছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এজন্য তাদের একটি শর্ত মানতে হবে।
বুধবার ( ৩ এপ্রিল) একটি অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ দূত টিম লেন্ডারকিং জানিয়েছেন, লোহিত সাগরে হুতিরা হামলা বন্ধ করলে তাদের আর ‘সন্ত্রাসী’ বলা হবে না। খবর এনডিটিভির।
লেন্ডারকিং বলেন, আমি আশা করি, আমরা কূটনৈতিকভাবে এর সমাধান করতে পারবো। আমাদের কূটনৈতিক টানাপোড়েন নিরসনে যদি হুতিদের সন্ত্রাসী বলা থেকে সরে আসতে হয় তাহলে তাদের অবশ্যই সাগরে হামলা বন্ধ করতে হবে।
এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ইয়েমেনে হুতিদের স্থাপনাগুলিতে প্রায় তিন মাসব্যাপী বিমান হামলার পর আবারও কূটনীতির সমাধানের দিকে ঝুঁকেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা শক্তি প্রয়োগে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, হুতিদের সামরিক সক্ষমতা হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে তারা।
এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আনসারুল্লাহ; যারা সাধারণত হুতি হিসাবে পরিচিত তাদেরকে একটি বিশেষ ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসাবে ঘোষণা করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
লোহিত সাগরে হামলার জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলা শুরু করার পরই তাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেয় ওয়াশিংটন।
গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ করতে ইসরায়েলকে চাপ দেয়ার জন্য নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে জাহাজগুলির ওপর হামলা শুরু করে হুতি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকে বেশিরভাগ পশ্চিমা শিপিং সংস্থাগুলি এই পথ এড়িয়ে এড়িয়ে চলেছে।
হুতি বিদ্রোহীরা বলেছে, তারা সেখানে তাদের হামলা অব্যাহত রাখবে।
লেন্ডারকিং ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওমান দীর্ঘদিন ধরে হুতি ও পশ্চিমাদের সঙ্গে কূটনৈতিক মধ্যস্থতা করে আসছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তিনি ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়িদ বদর আল-বুসাইদির সঙ্গে কথা বলেছেন। ইয়েমেনের জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ও হুতিদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উপায় নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।