এপ্রিল ১৮, ২০২৪ ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ
গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরাইলি বাহিনীর একটি গোলা আঘাত হেনেছিল গাজার বৃহত্তম ফার্টিলিটি ক্লিনিকে। ওই বিস্ফোরণে তখন সেখানকার ভ্রূণবিদ্যা ইউনিটের এক কোণে সংরক্ষিত পাঁচটি তরল নাইট্রোজেন ট্যাঙ্কের ঢাকনা ফেটে ঘটে যায় মর্মান্তিক এক ঘটনা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ওই হামলায় অতি-ঠান্ডা তরল বাষ্পীভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্যাঙ্কের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে, গাজা শহরের আল বাসমা আইভিএফ কেন্দ্রে সংরক্ষিত ৪ হাজার ভ্রূণ এবং আরও ১ হাজার শুক্রাণুর নমুনা ও নিষিক্ত ডিম ‘ধ্বংস’ হয়।
একক সেই বিস্ফোরণের প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী; গাজার ২৩ লাখ মানুষের ওপর ইসরাইলের সাড়ে ছয় মাস ধরে চলা হত্যাযজ্ঞের এক অদেখা বর্বরতার উদাহরণ।
রয়টার্স বলছে, ওই ট্যাঙ্কের ভ্রূণগুলোই ছিল বন্ধ্যাত্বের মুখোমুখি হওয়া শত শত ফিলিস্তিনি দম্পতির শেষ ভরসা।
১৯৯৭ সালে ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কেমব্রিজ-প্রশিক্ষিত প্রসূতি এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বাহেলদিন ঘালাইনি (৭৩)। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে, এই ৫ হাজার জীবন বা সম্ভাব্য জীবন, পিতামাতার ভবিষ্যৎ বা অতীতের জন্য কী বোঝায়।’
বাহেলদিন আর বলেন, ‘অন্তত অর্ধেক দম্পতি – কার্যকর ভ্রূণ তৈরির জন্য যারা আর শুক্রাণু বা ডিম্বাণু উৎপাদন করতে পারছেন না – তাদের আর সন্তান নেয়ার সুযোগ থাকবে না।’
ফিলিস্তিনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর অথ্যানুসারে, গাজা উপত্যকায় বড় পরিবার খুব সাধারণ বিষয়। সেখানকার প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা ১৮ বছরের কম বয়সী এবং প্রতি নারীর উর্বরতার হার ৩.৩৮ জন।