ডিসেম্বর ২, ২০২৩ ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রার্থী দিয়েছে ২৯টি রাজনৈতিক দল। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২ হাজার ৭১১ জন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৯৬৪ জন রাজনৈতিক দল মনোনীত প্রার্থী। বাকি ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাবেক সংসদ-সদস্যও রয়েছেন।
প্রার্থীদের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১৯টি রাজনৈতিক দল ৫০টির কম আসনে তাদের দলীয় প্রার্থী দিয়েছে। অর্থাৎ ভোটে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর ৬৫ শতাংশই নামেমাত্র এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। গণফোরামের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ এ নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলটির মনোনয়নে ৯ জন প্রার্থী হয়েছেন।
এছাড়া বাংলাদেশ মুসলিম লীগ দুটি এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন এ নির্বাচনে। শুধু আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির তিন শতাধিক প্রার্থী রয়েছেন এ নির্বাচনে। কয়েকটি আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছে দল দুটির। কিংস পার্টি হিসাবে পরিচিত পাওয়া তৃণমূল বিএনপি নির্বাচনে ১৫১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। অপরদিকে বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। দলগুলোর নামে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্রও জমা হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের এক খসড়া প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে ওই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারেনি ইসি সচিবালয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ সংখ্যার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট ছকে নির্দিষ্ট সময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সঠিকভাবে তথ্য না দেওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম শুক্রবার দ্রুত ওই তথ্য দেওয়ার জন্য তাগাদাও দেন।
এদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে মাত্র ৬টি দল একশর বেশি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। সেগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ (৩০৩ প্রার্থী), জাতীয় পার্টি (৩০৪), জাকের পার্টি (২১৮), তৃণমূল বিএনপি (১৫১), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (১৪২) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস (১১৬)।
চারটি দলের প্রার্থী সংখ্যা ৫০ থেকে একশর মধ্যে রয়েছে। দলগুলো হচ্ছে-জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (৯১), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (৮২), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (৭৪) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ (৫৫)।
এবার নির্বাচনে অল্প আসনে প্রার্থী দেওয়া রাজনৈতিক দলের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। এ নির্বাচনে ১৯টি দলেরই প্রার্থী সংখ্যা ৫০ জনের কম। দলগুলো হচ্ছে-জাতীয় পার্টি-জেপি (২০), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (৬), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (৩৪), গণতন্ত্রী পার্টি (১২), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ (৬), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (৩৩), বিকল্পধারা বাংলাদেশ (১৪), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (৪৭), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (১৪), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (২), গণফোরাম (৯), গণফ্রন্ট (২৫), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (১৩), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ (৩৯), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (১৮), ইসলামী ঐক্যজোট (৪৫), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (৩৭), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (৫) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (৪৯ জন)।