আংশিক চালু হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি গাড়ি চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। সেপ্টেম্বরে চালুর পর এ পর্যন্ত প্রায় ষাট লাখ যানবাহন চলেছে এ উড়াল সড়কে, যা থেকে আয় হয়েছে প্রায় ঊনপঞ্চাশ কোটি টাকা। শিগগিরই কারওয়ান বাজার র্যাম চালু হলে যান চলাচল আরও বাড়বে। তবে পুরোপুরি চালুর আগে টোল বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয় দেশের প্রথম এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এরপরই প্রতিদিন যেনো যানবাহন বাড়ছে এ পথে।
চুক্তি অনুসারে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ বাবদ সাড়ে একুশ বছর টোল আদায় করবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এরপর বুঝে নেবে বাংলাদেশ সরকার। টানা ১৫ দিনে সর্বনিম্ন সাড়ে তেরো হাজারের কম গাড়ি চলাচল করলে ১৫ দিনে অতিরিক্ত একদিন টোল আদায় করবে তারা। আবার একই সময়ে ৮০ হাজারের বেশি গাড়ি চলাচল করলে বাড়তি টোলের ২০ শতাংশ পাবে সেতু বিভাগ। যদিও এর একটি অংশ দিতে হবে রেলওয়েকে।
তবে আংশিক চালু হওয়ার পরই লাভের স্বপ্ন দেখছে কর্তৃপক্ষ। তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে চালুর পর থেকে প্রথম মাসে ৮ লাখ ৩৬ হাজার। অক্টোবরে ৯ লাখ ২৩ হাজার, নভেম্বরে ৮ লাখ ৪ হাজার, বছর শেষে ১০ লাখ ৭০ হাজার। চলতি বছর শুরুর মাসে ১১ লাখ ৩ হাজার ও ৯ লাখ ৮ হাজার গাড়ি চলাচল করে।
আর এতে আয় হয় সেপ্টেম্বরে ৬ কোটি ৭৭ লাখ। পরের তিন মাসে যথাক্রমে সাড়ে সাত কোটি, ছয় কোটি ৫৭ লাখ ও আট কোটি ৭৪ লাখ। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নয় কোটি ৩ লাখ ও ফেব্রুয়ারিতে নয় কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
আংশিক চালুতেই এ পরিমাণ গাড়ি চলাচল করায় কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরোপুরি অর্থাৎ কুতুবখালী পর্যন্ত চালু হলে শুরু থেকেই লাভের পথে হাঁটবেন তারা।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এ এইচ এম সাখাওয়াত আকতার বলেন, ফার্মগেট পর্যন্ত আংশিক অপারেশন চলছে। এখন আমরা এফডিসি পর্যন্ত যাচ্ছি, সেটাও আংশিক অপারেশনের আওতায় রয়েছে। এখানেও ৮০ টাকার যে টোল আছে, সেটিই বহাল থাকবে। সেটা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে এটা কুতুবখালী পর্যন্ত শেষ হলে ওই ভাড়াটা আমরা সমন্বয় করবো।
এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে নতুন আরও একটি র্যাম। ফার্মগেট পেরিয়ে এখন নামা যাবে কারওয়ান বাজার এফডিসি গেইটে। এতে বাড়বে সুবিধাভোগীর সংখ্যা। যদিও পুরো কাজ শেষ হতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়বে আরও এক বছর।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত চেষ্টা করছি। যদিও এটা সম্ভব কিনা, সেটা হিসাব-নিকাশ করছি। তবে মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর বাড়তে পারে।
তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী অংশের কাজ এগিয়েছে ৭২ শতাংশের বেশি।