ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। বিয়ে করেছেন তিনি। সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
তাসনিয়া ফারিণ জানান, তার স্বামীর নাম শেখ রেজওয়ান। গত ১১ আগস্ট ঘরোয়া আয়োজনে তাদের আকদ সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছুই দ্রুত আয়োজন করা হয়েছে। কারণ তার স্বামী বর্তমানে দেশের বাহিরে কাজের কারণে ব্যস্ত রয়েছেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেছেন, সাড়ে আট বছরের বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, একত্রে থাকা। আমরা অবশেষে বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক পূর্ণতা দিতে পেরেছি গত ১১ আগস্ট ২০২৩।
যদিও বিয়ের সাজে সেই ছবিতে ফারিণের স্বামীর চেহারা দেখা যায়নি। লাল শাড়িতে অভিনেত্রীর দেখা মিললেও, একপাশ থেকে স্বামীকে দেখা গেছে স্ত্রীর কপালে চুমু খেতে।
জানা গেছে, তাসনিয়া ফারিণের স্বামীর নাম শেখ রেজওয়ান। তিনি মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। বর্তমানে দেশের বাহিরেই কর্মরত রয়েছেন। ফারিণের কলেজ জীবন থেকে তাদের সম্পর্কের শুরু। দীর্ঘ আট বছরের সম্পর্কের পর গত ১১ আগস্ট বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলেন এই জুটি।
বর্তমানে স্বামী দেশের বাইরে রয়েছেন জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে আমাদের আক্দ হয়েছে। আমার স্বামী বর্তমানে বিদেশে কর্মরত রয়েছেন। তিনি দেশে ফিরলে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে উদ্যাপন করব’
এদিকে সোমবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে স্বামীর উদ্দেশে ফারিণ লিখেছেন, ‘লম্বা সময়, কিন্তু তুমি এখনও আমার হৃদয়কে সেই প্রথমদিনের গতিতেই রেখেছো। আমি আমার শান্তি খুঁজে পেয়েছি তোমার মাঝে। আমরা বাইরের কোলাহলমুক্ত আমাদের নিজস্ব অভয়ারণ্য তৈরি করেছি। আমরা ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম যখন আমি কলেজে পড়ছি। তখনও আমি ক্যামেরার সামনেও দাঁড়াইনি। তুমি সবসময়ই আমার পাশে ছায়ার মতো ছিলে। আমার কর্ম পরিবেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়া সত্ত্বেও তুমি সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছ, সমর্থন জুগিয়েছ।’
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন আসলেও গতি একই ছিল। যার কারণে আমাদের সম্পর্ক খুবই গোপন ছিল। সত্যি বলতে এটা অনেক সুন্দর ছিল। আমাদের কৈশরের প্রেম অবশেষে প্রাপ্য সমাপ্তি পেল। ’
নিজেকে ভাগ্যবতী উল্লেখ করে তাসনিয়া বলেন, ‘আমার কাছে এখনও অবিশ্বাস্য লাগছে, আমি একজন স্বামী পেয়েছি। আমার মনে হচ্ছে, আমি সবচেয়ে ভাগ্যবতী মেয়ে। শেখ রেজওয়ান, ধন্যবাদ আমাকে বিয়ে করার জন্য। আমি তোমাকে ভালোবাসি, এবং সারাজীবন তোমাকেই লালন করবো।’