কী ছিল টাইটানিকের মেন্যুতে, দাম কেন এত বেশি

কী ছিল টাইটানিকের মেন্যুতে, দাম কেন এত বেশি

ফিচার স্পেশাল

নভেম্বর ১৫, ২০২৩ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

এলাহি আয়োজন যেটাকে বলা হয়। একদিকে রয়েছে অয়েস্টার, স্যালমন, বিফ; আবার অন্যদিকে স্কোয়াব, ডাক, চিকেন, পার্সনিপ পিউরি। ভারি খাবারের শেষে পাতে পাবেন ভিক্টোরিয়া পুডিং! এক কথায় যাকে বলে রাজকীয় খানাপিনা। তখন পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় জাহাজ বলতে সবাই এক নামে চিনতো টাইটানিককে। সেই জাহাজের ফার্স্ট ক্লাসের যাত্রীদের নৈশভোজের মেনু এটি।

টাইটানিকের সেই মেনু এবার প্রকাশ্যে এলো। প্রায় এক শতক পুরোনো মেনুকার্ড। সাদা কার্ড লালচে হয়ে গিয়েছে। তবে খাবারের নামগুলো এখনও দিব্যি পড়া যাচ্ছে। কার্ডের ডান দিকে লেখা এপ্রিল ১১ হাজার ১৯১২! উপরে একটি লাল পতাকা, তার মাঝে সাদা তারা। যেটিকে সারা বিশ্ব টাইটানিকের পতাকা হিসেবেই চেনে।

পৃথিবীতে এমন প্রকাণ্ড জাহাজ আগে তৈরি হয়নি। বিশেষজ্ঞেরা বলেছিলেন, এ জাহাজ কোনোদিন ডুববে না। কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যে প্রমাণিত হয়। ব্রিটেনের সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্কগামী জাহাজটি প্রথম সফরেই বিপর্যয়ে পড়ে। ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরে একটি প্রকাণ্ড হিমশৈলে ধাক্কা খায় টাইটানিক। ফাটল ধরে জাহাজে। সে রাতেই ডুবে যায় জাহাজটি। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান কমপক্ষে ১৫০০ জন।

যারা লাইফবোটে জায়গা পান, তারা বেঁচে যান। তেমনই কোনো যাত্রী হয়তো টাইটানিক ছাড়ার আগে সঙ্গে নিয়েছিলেন একটি মেনু কার্ড। স্মৃতি হিসেবে কাছে রেখে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি সেই মেনুকার্ড নিলামে উঠল। জাহাজডুবির তিন দিন আগের মেনু কার্ড ছিল সেটি। সম্প্রতি লন্ডনে তা নিলামে উঠল। নিলামে তার দাম উঠল ৮৩ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকা।

টাইটানিকের বিভিন্ন জিনিস বহু মানুষের ব্যক্তিগত সংগ্রহে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলি কোনো সংগ্রহশালায় থাকা উচিত। টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ থেকে কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছিল। ওই জাহাজ থেকে বেঁচে ফেরা যাত্রীদের কাছেও কিছু জিনিস ছিল। নিলামে ওঠা মেনু কার্ডটিও তেমন। তবে সেটি কার কাছে ছিল, কে জাহাজ থেকে নিয়ে এসেছিলেন, তা জানা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *