মার্চ ২১, ২০২৪ ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ
যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় দুই হাজার টনের বেশি খাদ্য পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ এই খাবারের সহায়তা জর্ডান হয়ে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে প্রবেশ করেছে। বুধবার ব্রিটেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) অভাবী পরিবারগুলোতে খাবারগুলো বিতরণ করছে। যুক্তরাজ্যের এই ত্রাণ সহায়তায় ২৭৫,০০০ জনেরও বেশি মানুষের খাবারের জোগান দেওয়া সম্ভব।
সাহায্য সংস্থাগুলোর মতে, গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি ক্রমেই বাড়ছে।
জাতিসংঘ সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, দুর্ভিক্ষ এবং সমগ্র গাজা উপত্যকার প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধা’র সম্মুখীন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আরো সাহায্য পেতে আমাদের সড়কপথে টেকসই মানবিক প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। আমরা ইসরাইলকে আরো ক্রসিং খোলার অনুমতি দিতে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য এবং স্বাস্থ্যসেবা, জল এবং স্যানিটেশন পুনরুদ্ধারের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছি।
তবে গাজায় চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কানাডা সরকার ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত রেখেছে। মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানিয়া জোলি বিষয়টির ঘোষণা করেছেন। এর আগে সোমবার দীর্ঘ বিতর্কের পর অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার জন্য আইনপ্রণেতারা ২০৪-১১৭ ভোট দেওয়ার পরে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
দ্য টরন্টো স্টার সংবাদপত্রকে জোলি বলেছেন, এটি একটি বাস্তব জিনিস। একটি অস্ত্র বিক্রয় স্থগিতাদেশের জন্য কিন্তু এটি একটি সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় পরিবর্তিত হয়েছিল।
এদিকে ত্রাণের গাড়িতে আবারো হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
খাদ্য সরবরাহকারী কনভয়ে ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছে ২৩ জন।
হামাস জানিয়েছে, নিহতরা উত্তর গাজায় ত্রাণ রক্ষা ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত উপজাতীয় গোষ্ঠী। তারা সেখানকার জনপ্রিয় সুরক্ষা কমিটি নামে পরিচিত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজা শহরের একটি প্রধান গোলচত্বরে ইসরাইলি বিমান হামলায় তারা নিহত হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১,৯২৩ হয়েছে এবং ৭৪,০৯৬ জন আহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১০৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আহত হয়েছেন ১৬২ জন।