মার্চ ১৪, ২০২৪ ১০:০২ পূর্বাহ্ণ
সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিককে উদ্ধারে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডেকেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশিদ আলম।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এজেন্সি কর্তৃপক্ষকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। সিনিয়র সহকারী সচিব (আফ্রিকা) মো. ইফতেখার রহমানের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকের উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও ক্রুদের নিরাপদে উদ্ধারে কর্মকৌশল ঠিক করতেই এ বৈঠক।
উল্লেখ্য, কয়লাবাহী এম ভি আবদুল্লাহ আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল। ভারত মহাসাগর দিয়ে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহ সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে। হঠাৎই ছোট ছোট বোট নিয়ে জাহাজের দিকে চলে আসে সোমালিয়ান জলদস্যুরা।
ওই জাহাজে থাকা একজন ক্রু ঘটনার সময় একটি ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট ছোট নৌকায় করে জাহাজটিতে ওঠার চেষ্টা করে জলদস্যুরা।
জলদস্যুরা জাহাজটিতে ওঠার সময় তাদের হাতে বন্দুক ছিল বলেও দেখা যায় ভিডিওটিতে। জাহাজে ওঠার পরই সবাইকে জিম্মি করে ফেলে জলদস্যুরা।
জাহাজের ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ দুপুর দেড়টার দিকে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন চট্টগ্রামের এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তাদের জানান, জলদস্যুরা তাদের জাহাজে আক্রমণ করছে। ওই সময় শিপিংয়ের কর্মকর্তারা সেই আক্রমণ যে কোনো মূল্যে ঠেকানোর পরামর্শ দেন।
কিন্তু এর ১৫ মিনিট পরই ক্যাপ্টেনের একটি ই-মেইল বার্তা আসে চট্টগ্রামে। সেখানে তিনি জানান, জলদস্যুরা জাহাজের দখল নিয়ে ফেলেছে।
এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরেই সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের এমভি জাহানমণি নামে অন্য একটি জাহাজ। জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রেখেছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা। পরবর্তীতে নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।