পারমাণবিক অস্ত্র চায় তালেবান

পারমাণবিক অস্ত্র চায় তালেবান

আন্তর্জাতিক

ডিসেম্বর ২, ২০২৩ ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র পাওয়ার পথ খুঁজছে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলকারী গোষ্ঠী তালেবান। দেশটির সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান রহমতুল্লাহ নাবিল এ দাবি জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে তাজিকিস্তানের দুশানবেতে অনুষ্ঠিত হেরাত নিরাপত্তা সংলাপে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন বলে বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট। ক্ষমতা সুসংহত করতেই তালেবান এমনটা করতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি। রহমতুল্লাহ নাবিল আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের শাসনামলে ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ছিলেন।

নাবিল বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, তালেবান সরকার কীভাবে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করা যায় সেই পথ খুঁজছে। এমনো হতে পারে তারা পাকিস্তানের কাছ থেকে সেটি সরাসরি পেতে পারে। অথবা দেশটির প্রকৌশলীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়েও অস্ত্র তৈরি করিয়ে নিতে পারে। আর তা বাস্তবায়ন হলে এটি হবে এক ভয়াবহ বিপর্যয়’। আধুনিক সমরশক্তির নিদর্শন হিসেবে তালেবান সরকার উত্তর কোরিয়া, ইরান, চীন ও রাশিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চায় বলে জানান তিনি। আর এ কারণেই পারমাণবিক অস্ত্র চায় তারা।

তবে হেরাত নিরাপত্তা সংলাপে উপস্থিত বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা তালেবানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বিষয় নিয়ে বেশ সন্দিহান মনোভাব পোষণ করেছেন। এমন কৌশলগত অস্ত্র অর্জনের সক্ষমতা প্রকৃতপক্ষেই তালেবানের আছে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। একই সঙ্গে তাদের ইচ্ছা ও যাদের কাছ থেকে অস্ত্র বা প্রযুক্তি নেবে, তাদের সঙ্গে ভালো সংযোগ আছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে তাদের। তবে এ বিষয়ে নাবিল বলেন, ‘তালেবানের অস্ত্র পাওয়ার সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করলে বরং তা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াবে। তালেবানকে ‘জিহাদি যন্ত্র’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (তালেবান) পারমাণবিক অস্ত্র পাওয়ার ইচ্ছা আছে। আর এ নিয়েও আলোচনা চলছে। অন্যান্য দেশের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বিষয়গুলোও পর্যালোচনা করছে তারা’। তাই এ বিষয়ে নজর রাখা জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর বিগত দুই বছরে তালেবান ব্যাপক কৌশলগত গভীরতা করেছে বলে জানান নাবিল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য মিত্র দেশ আফগানিস্তানে যেসব অস্ত্র ফেলে গেছে, সেগুলোর দখল তালেবানের হাতে চলে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘তাদের দখলে আছে ন্যাটো বাহিনীর অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ। এমনকি তাদের হাতে অত্যাধুনিক নজরদারির ব্যবস্থাও রয়েছে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *