থাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে কয়েকজন যাত্রীর ব্যাগ (লাগেজ) আটকে দেয় শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা। চালায় তল্লাশি। আর তাতেই চোখ কপালে ওঠে সবার। পশু আর পাখিতে ভরা সেসব ব্যাগ। কী নেই সেখানে! বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, টিয়া পাখি, বড়সড় টিকটিকি থেকে শুরু করে আস্ত লাল পান্ডা- একে একে বেরিয়ে আসে ৮৭টি পশু-পাখি। এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
তারা সবাই ভারতীয় এবং দেশের বাইরে প্রাণী পাচার করার চেষ্টার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। বুধবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
থাইল্যান্ডের কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, একটি রেড পান্ডাসহ আরও কয়েক ডজন প্রাণী দেশের বাইরে পাচারের চেষ্টা করার জন্য ব্যাংককের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয় ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে জব্দ করা ৮৭টি প্রাণীর মধ্যে সাপ, তোতাপাখি এবং মনিটর টিকটিকিও রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মূলত কয়েকজন সন্দেহভাজন যাত্রী মুম্বাই যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে লাগেজ ড্রপ করেন এবং এগুলোতে তল্লাশি করে এসব প্রাণী খুঁজে পাওয়া যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে থাইল্যান্ডের শুল্ক বিভাগ একটি ঝুড়ির ভেতরে বিপন্ন প্রজাতির লাল পান্ডা এবং প্লাস্টিকের পাত্রে আটকে রাখা তোতাপাখির ছবি প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে সাপগুলোকে কাপড়ের ব্যাগে একসাথে কুণ্ডলী করে রাখা হয়েছিল।
বিবিসি বলছে, থাইল্যান্ড বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের কাছে একটি প্রধান ট্রানজিট হাব। পশু সাধারণত চীন এবং ভিয়েতনামে বিক্রি হয়, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতও পশু বিক্রির ক্ষেত্রে একটি ক্রমবর্ধমান বাজারে পরিণত হয়েছে।