সম্মতি দিয়ে বসে আছেন স্বস্তিকা, অথচ শুটিং ডেট বের করতে পারছেন না চঞ্চল চৌধুরী! ভাবতে কষ্ট হলেও এটাই এখন ঢাকাই অভিনেতার বাস্তবতা। দুই বাংলার ওটিটি আর সিনেমা নিয়ে যার ব্যস্ততার এখন শেষ নেই। তিনি এখন দুই বাংলার অন্যতম সফল অভিনেতাও বটে।
তার প্রতিচ্ছবি মিললো শুক্রবারের (১ সেপ্টেম্বর) আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে। যেখানে বলা হলো, কাজ বাছাইয়ে বরাবরই নাক উঁচু স্বস্তিকা এবার পর্দায় হাজির হচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে। এরমধ্যে ছবিটি করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষরও সেরেছেন।
তিনি বরাবরই বলে এসেছেন, সবসময় একটু অন্য রকম কাজ করার খিদে তাকে তাড়া করে বেড়ায়। তাই স্বস্তিকাকে ‘হ্যাঁ’ বলানো বেশ মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেক পরিচালক প্রযোজকের পক্ষে। শোনা যাচ্ছে, তেমনই কোনো লোভনীয় চিত্রনাট্য নাকি পেয়েছেন নায়িকা। যেটা শোনার পর আর ‘না’ বলতে পারেননি।
ছবিটি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনা কিনা, তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। নিশ্চিত হওয়া যায়নি, ছবিটির নাম কিংবা নির্মাতার বিষয়ে। তবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই ছবির জন্য রাজি হয়েছেন নায়িকা। প্রযোজক নাকি ইতোমধ্যে অগ্রিম দিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রীকে। কিন্তু চঞ্চলের শুটিং ডেট পেতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই এখনো শুটিংয়ের সময় চূড়ান্ত হয়নি। সম্ভবত পুজোর পরে অর্থাৎ নভেম্বরেই শুরু হবে সিনেমার শুটিং।
এ বিষয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, অনেকেই তো প্রস্তাব দেয় কাজের। কথাও হয়। সাম্প্রতিক সময়েও কলকাতার ৮-১০ জন নির্মাতার সঙ্গে কথা চলছে। কিন্তু কারও সঙ্গে ফাইনাল হয়নি কিছুই। এমনকি আনন্দবাজারের মতো পত্রিকা এমন একটি খবর ছাপলো, সেখানেও কোনো তথ্য নেই। আমাকেও তারা কিছু জিজ্ঞেস করেনি। ফলে আমি নিজেই আসলে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেলাম এখন! আমি আর স্বস্তিকা আসলে কোন নির্মাতার সিনেমা করছি? গল্পটাই বা কেমন!
চঞ্চল চৌধুরী জানান, এখন তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মনোগামী’র শুটিংয়ে। যার শেষ দিনের কাজ চলছে আজ (১ সেপ্টেম্বর)। বলেন, এই কাজটি শেষ হচ্ছে আজ। দারুণ কিছু হবে আশা করছি। এর বাইরে নতুন কোনো সিনেমা এখনো লক করিনি। তবে ওটিটির বেশ কিছু কাজ জমে আছে। সেগুলো এক এক করে শেষ করতে হবে দ্রুত।