সাংবাদিক-ড্রাইভার নিষিদ্ধ, শ্রীলেখার তোপ, শ্রীময়ীর সাফাই

সাংবাদিক-ড্রাইভার নিষিদ্ধ, শ্রীলেখার তোপ, শ্রীময়ীর সাফাই

বিনোদন

মার্চ ৮, ২০২৪ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

গতকাল কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয় ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে আসছেন এই জুটি। এবার তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বাইরে ঝুলানো ফেস্টুনকে কেন্দ্র করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই নবদম্পতি। বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন আরেক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

কাঞ্চন-শ্রীময়ী ফেস্টুকে ঠিক কী লিখেছেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এ ফেস্টুনের ছবিতে দেখা যায়, ফুল ও রঙিন কাপড়ে সজ্জিত এটি। তাতে লেখা রয়েছে- ‘প্লিজ! সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ি চালকদের প্রবেশ নিষেধ।’

নেটিজেনদের মতো, বিষয়টি শ্রীলেখারও নজরে পড়েছে। নিজের ফেসবুকে ছবিটি পোস্ট করে আলোচিত এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমাকে যে গুটি কয়েক মানুষ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পছন্দ করেন, তারা বহুবার আমার ভালোর জন্য তথাকথিত বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে যেতে বলেছেন। অর্থাৎ যা হচ্ছে হোক, অন্যদের ন্যায় তুমিও এড়িয়ে যাও। কী দরকার! যা হচ্ছে হতে দাও। চেষ্টা যে করিনি তা নয়। কিন্তু কিছু বিষয় চাইলেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না।’

বৃটিশ শাসনামলের উদাহরণ টেনে শ্রীলেখা লেখেন, ‘এনাদের (কাঞ্চন-শ্রীময়ী) বিয়ে নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। তবে আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে অবশ্যই আছে। বেশ কয়দিন যাবৎ নিউজ মিডিয়া এবং পাবলিক, সর্বশেষ দুটি বিয়ে নিয়ে মাত্রারিক্ত উৎসাহ দেখিয়েছিলেন। তারা এবং আপনারা ছবি নয় ছবির নিচে যে লেখা আছে তা পড়ুন। শুনেছি, বৃটিশ সুশাসন চলাকালে বিভিন্ন ক্লাবে লেখা থাকত- ‘ভারতীয় এবং কুকুর প্রবেশের অনুমতি নেই।’ এটা দেখে আমার খানিকটা তাই মনে হলো, বাকিটা আপনাদের অভিমত। মিডিয়া আবার পরবর্তীতে কারো বিয়ের জন্য ধৈর্য ধরে থাকুন। পরিশেষে একটাই কথা বলব- ক্লাস ম্যাটার।’’

শ্রীলেখার এ পোস্ট নিয়ে চর্চা বহু গুণে বেড়েছে। কাঞ্চন- শ্রীময়ীকে ‘খুবই ছোট মনের’ মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

বিতর্কের মুখে বিষয়টি মুখ খুলেছেন শ্রীময়ী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক, নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখতে চাই, এ কথা হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। এমনিতেই সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের বিয়ে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যে ভেসে যাচ্ছে। সেখানে যদি অনুষ্ঠানে প্রবেশ অবাধ হয়, তা হলে তো মুশকিল হবে। এজন্য আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছিলাম। হোটেল কর্তৃপক্ষ কীভাবে সেটা পরিচালনা করছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তা ছাড়া এখানে তো কাউকে অপমান করা হয়নি। সবাই তো মানুষ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *