সাঈদীকে নিয়ে যা বললেন শামীম ওসমান

সাঈদীকে নিয়ে যা বললেন শামীম ওসমান

দেশজুড়ে

আগস্ট ১৫, ২০২৩ ২:৪৮ অপরাহ্ণ

কারাবন্দি অবস্থায় মারা যাওয়া জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান বলেছেন, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে এমন কথা বলে ২১ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। যারা সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে বলে ইসলামকে ব্যবহার করে মানুষ হত্যা করে তাদের কাছে এর চেয়ে বেশি ভালো কিছু আশা করা যায় না।

মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জের মু‌ক্তিনগর ও সানারপাড় এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, যারা ৭১ সালে আমাদের ৩০ লাখ মানুষের রক্ত নেওয়ার জন্য পাকবাহিনীকে সাহায্য করেছে তাদের কাছে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে নাই যেখানে স্বাধীনতার বিরোধীতাকারীরা রাজনীতির সুযোগ পায়। আমাদের দেশই একটা অভাগা দেশ যেখানে ওরা এখানো কথা বলে যাচ্ছে, আর আমাদের তরুণ সমাজ চুপ করে তাদের কথা শোনে। আমার মনে হয় ৩০ লাখ শহিদের আত্মা আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম তাদের বিবেকের কাছে আজকে লজ্জিত হচ্ছে, তাদের বিবেকে প্রশ্ন আসছে যে কেনো কথা বলবে তাই সবার উদ্দেশ্যে বলি, এবার ঘুমিয়ে থেকেন না জেগে উঠুন দেশকে বাঁচাতে হবে।

তিনি বলেন, শোকের দিনে একটা কথা বলতে চাই। ‘৭৫এর ১৫ আগস্টে একসঙ্গে ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত সেদিন দুই (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা) বোন সেদিন জার্মানিতে ছিলেন। সেদিন সব স্বপ্ন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল, আমরা স্বপ্ন দেখা ভুলে গিয়েছিলাম। আল্লাহ তায়ালার হুকুমে শেখ হাসিনা থাকাতে বাংলাদেশের মানুষ আবার স্বপ্ন দেখছে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে।

শামীম ওসমান বলেন,  আওয়ামী লীগ করি বা অন্য কোনো দল করি সেটি ব্যাপার না। এ দেশটা আমাদের সবার এ দেশটাকে বাঁচাতে হবে। বঙ্গবন্ধু চলে যাওয়ার পর দেশ পিছিয়ে গিয়েছিল, শেখ হাসিনা চলে গেলে দেশ আর এগোতে পারবে না। অন্ততপক্ষে আগামী ৫০ বছরেও। বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ শেখ হাসিনা। তিনি স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করান। শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাচ্ছেন। আমাদের সবার তার পেছনে দাড়ানো প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *